রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও শুভঙ্কর বসু: বিজেপির অস্বস্তি কাটছেই না। এবার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেন ১৩৩ ও ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী যথাক্রমে সদানন্দ প্রসাদ ও মমতাজ আলি।
শনিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। সূত্রের খবর, বিজেপির ওই দুই প্রার্থী এদিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে ওই দুই ওয়ার্ডেই ভোট হবে। কারণ ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী রয়েছে। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী আছে। ফলে সব ওয়ার্ডেই ভোট হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের ওই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। শাসকদলের পক্ষে অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, হার নিশ্চিত জেনেই ওই দুই বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এদিকে, ঘোষণা হওয়ার পর থেকে কলকাতা পুরভোটে বিজেপির নির্বাচন পরিচালন কমিটি কার্যত নিষ্ক্রিয়। ২৭ নভেম্বর সব সদস্যকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির শেষ বৈঠক হয়েছে। ২৯ তারিখ প্রার্থী ঘোষণার পরও কমিটির পূর্ণাঙ্গ আর কোনও বৈঠকই হয়নি। এমনই অভিযোগ নির্বাচন পরিচালন কমিটির সদস্যদের একাংশের। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, কমিটির সদস্য করার পরও অনেকেরই পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না প্রচার কিংবা রণকৌশল নিয়ে। কলকাতা পুরভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনের আগে দলের পরিচালন বা প্রচার কমিটির কাজ নিয়ে বিজেপির একাংশ কার্যত অন্ধকারে। শুধু তাই নয়, উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে হাতে গোণা গোটা তিরিশেক ওয়ার্ড বাদ দিলে বাকি ওয়ার্ডে বিজেপির জমাটি প্রচারের ছবি সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। অনেক ওয়ার্ডইে প্রচারে সেভাবে দেখা মিলছে না কর্মী-সমর্থকদের। হাতেগোনা পাঁচ-ছয়জনকে নিয়ে প্রার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। প্রচারে এখনও পর্যন্ত দেখা নেই দলের কোনও শীর্ষ নেতাদের। সংসদের অধিবেশন চলায় দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে দলের সমস্ত সাংসদই ব্যস্ত দিল্লিতে সংসদের অধিবেশন নিয়ে। ফলে সাংসদরাও সেভাবে থাকতে পারছেন না। দলের শীর্ষ নেতারা কলকাতায় প্রচারে কবে নামবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন কর্মীদের মধ্যে।
এদিকে কড়া বার্তা সত্ত্বেও নির্দল কাঁটা রয়ে গেল তৃণমূলের। দলীয় বৈঠকে কড়া বার্তার পরও বিক্ষুব্ধ দুই নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন না। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে জোড়া পাতা প্রতীকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। আবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বক্তব্য, ‘দলের বিরুদ্ধে নয়, লড়ছি প্রার্থীর বিরুদ্ধে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.