অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু৷ শুক্রবার ভোররাতে বন্ধ কারখানা থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ৷ তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে৷ ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কড়েয়া থানার পুলিশ৷
মৃত ইব্রার আলম তিলজলার ৪২/বি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তিনজন বন্ধু ডেকে নিয়ে যায় তাঁকে৷ রাত বাড়লেও, কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি ইব্রারের৷ বাড়ির তরফে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়৷ কিন্তু তাতেও পাওয়া যায়নি ওই ব্যবসায়ীকে৷ ভোররাতের দিকে বাড়িতে একটি ফোন আসে৷ তবে যে ফোন করেছিল, সে তার পরিচয় জানায়নি বলেই দাবি ইব্রারের ভাইয়ের৷ ফোনে বলা হয় ইব্রার ১৬৮ নম্বর তিলজলা রোডে একটি বন্ধ কারখানার মধ্যে রয়েছে৷ সেই মতো বাড়ি থেকে ওই কারখানার উদ্দেশে রওনা দেন ইব্রারের ভাই৷ সেখানে গিয়ে দেখেন কারখানাটি বন্ধ রয়েছে৷ বন্ধ কারখানার ভিতরে গিয়ে চমকে ওঠেন ইব্রারের ভাই৷ তিনি দেখেন, কারখানার ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ইব্রার৷ ওই কারখানায় অচৈতন্য ব্যবসায়ীর পাশে বসে রয়েছেন তাঁর তিন বন্ধুও৷
তড়িঘড়ি ইব্রারকে উদ্ধার করা হয়৷ ওই ব্যবসায়ীকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর ভাই৷ ইব্রারের বন্ধুরা তাঁর ভাইকে জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী৷ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পরই চিকিৎসকরা জানান ইব্রার মৃত্যু হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই সুযোগ বুঝে এলাকা ছাড়ে ইব্রারের তিন বন্ধু৷ ইব্রারের হাত, পা ও মাথায় মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন৷ কীভাবে মৃত্যু হল ইব্রারের, তা নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ পরিবারের দাবি, ওই তিন বন্ধুই খুন করেছে ইব্রারকে৷ তবে কেন খুন করা হল দাদাকে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না ইব্রারের ভাই৷
প্রথম জীবনে মুচি হিসাবে কাজ করতেন বছর তেত্রিশের ইব্রার৷ কয়েবছর আগেই স্বাধীনভাবে চামড়ার ব্যবসা করছিলেন তিনি৷ কোনও গণ্ডগোলে কোনওদিন জড়াতেন না ইব্রার৷ ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.