সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক অবসাদের জেরে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন উঠতি মডেল তিয়াসা মজুমদার। গত রবিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হল ওই তরুণীর।
[ মা ফিরে আসবেন, বিশ্বাসে ৩ বছর মৃতদেহ ফ্রিজে ‘মমি’ করে রাখল ছেলে ]
বেহালার সত্যেন রায় রোডে বাড়ি মডেল তিয়াসা মজুমদারের। মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন তিনি। মডেলিংয়ে বেশ নামও করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর হাতে তেমন কাজ ছিল না বলে জানা গিয়েছিল। প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগতেন তিয়াসা। তাঁর মেজাজও খিটখিটে হয়ে গিয়েছিল। তবে তার জেরে যে এতবড় কাণ্ড বাধাবেন এমনটা কেউ আঁচ করতে পারেননি। গত রবিবার বাড়ির দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএমে ভরতি করা হয়। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনেও। যদিও মৃত্যুর সঙ্গে যুঝে শেষপর্যন্ত জিততে পারলেন না ওই উঠতি মডেল। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে তিয়াসার।
[ হয়রানির অভিযোগ তুলে হাওড়া জিআরপিতে বিক্ষোভ দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের ]
মনোবিদরা জানাচ্ছেন, আচমকা পাওয়া সাফল্য যেমন খুশি আনে, তেমনই অবসাদও বাড়াতে পারে। কোনও কারণে সাফল্যের ধারা বজায় না থাকলেই অবসাদের চোরাবালিতে তলিয়ে যেতে থাকেন অনেকে। তিয়াসাও সম্ভবত সেই অসুখের শিকার হয়েছিলেন। তার জেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল। প্রতিবেশীরা জানিয়েওছিলেন যে, হাতে কাজ না থাকায় খানিকটা অস্বাভাবিক আচরণই করতে তিয়াসা। স্বাভাবিকের তুলনায় খিটখিটে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মনোবিদদের মতে, প্রতিযোগিতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়লেই এভাবে অবসাদ গ্রাস করে মানুষকে। সেই জায়গা থেকেই কেউ কেউ আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যদিও তাঁরা বারবার জানান, প্রতিযোগিতাই জীবনের সব নয়। জীবন আরও বড়। শেষপর্যন্ত জীবনে টিকে থাকাই বড় কথা। কিন্তু প্রতিযোগিতসর্বস্ব সময়ে সেই কথা কতটা মেনে চলা সম্ভব সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিয়াসার মৃত্যু আরও একবার এ প্রশ্ন তুলে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.