Advertisement
Advertisement

রাতভর উদ্ধারকাজেও সরানো যায়নি কংক্রিটের স্তূপ, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে আবহাওয়া

আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বৃষ্টির ভ্রূকুটি।

Kolkata Bridge Collapse: rescue operation still on
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 5, 2018 9:20 am
  • Updated:September 5, 2018 9:20 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  খাস কলকাতায় সেতুভঙ্গের আতঙ্ক। দুর্ঘটনার পর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। তবে, রাজ্য সরকারের চিন্তা আপাতত উদ্ধারকাজ। রাতভর বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, পুলিশ, দমকল দপ্তরের কর্মী এবং অবশ্যই সেনাকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন। হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি পুরোপুরি। কখনও আবহাওয়া কখনও কম আলো, কখনও অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর অভাব বাধা দিয়েছে উদ্ধারকাজে। যার ফলে রাতভর পরিশ্রমের পর এখনও পুরোপুরি সরানো যায়নি কংক্রিটের স্তূপ।

[মাঝেরহাটে বিপর্যয়ের জের, যাতায়াতের বিকল্প ট্রাফিক রুট চালু পুলিশের]

সারারাতের পরিশ্রমের পর ধীরে ধীরে ঘটনার ভয়াবহতা সামনে আসছে। দেখা যাচ্ছে সেতুর দুধারের গার্ডার অখ্যত রয়েছে। মাঝখানে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। মূল যে কংক্রিটের চাঁইটি ভেঙে পড়েছে তা এখনও সরানো যায়নি। সেই কংক্রিটের চাঁই ভেঙে তার তলায় আটকে থাকা মানুষ বা যানবাহনের উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে ওই কংক্রিটের চাঁইয়ের মধ্যে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভিতরে যদি কেউ আটকে থাকে তাঁকে উদ্ধার করা। একদিক থেকে যেমন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে, অন্যদিকে চেষ্টা চলছে গর্ত করে যদি কোনওক্রমে বড় কংক্রিটের স্তূপের নিচের ছবিটা দেখে নেওয়া যায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে ক্যামেরা পাঠিয়ে পরিস্থিতি দেখে নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে স্নিফার ডগ।

Advertisement

এসবের মধ্যে অবশ্য স্বস্তির খবর, পোস্তার মতো অত বেশি মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখনও পর্যন্ত বেসরকারি সূত্রের খবর, মোট ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সৌমেন বাগ ছাড়া আর কারও মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, সেতুর তলায় এখনও দুজন আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, স্থানীয় ঠিকাকর্মীরা জানাচ্ছেন তাদের সঙ্গে কাজ করতেন এমন দু’জনের খোঁজ মিলছে না মঙ্গলবার রাত থেকেই।

[ছেলেকে এভাবে শনাক্ত করতে হবে স্বপ্নেও ভাবেননি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মৃতের বাবা]

রাতভর আলো, আবহাওয়ার জন্য কিছুটা স্লথ ছিল উদ্ধারকাজ। সকালে উঠেই গতি বাড়ানো হয়। কিন্তু আজও বৃষ্টির ভ্রুকুটির আশঙ্কায় রাখছে উদ্ধারকারীদের। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে আবারও উদ্ধারকাজের গতি স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement