সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কবলিত চিন থেকে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরেছেন। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা আছেই। সেই আশঙ্কায় এবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শে দক্ষিণ কলকাতার এক যুবককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভরতি করা হল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। পাশাপাশি, চিন থেকে ফেরা নৈহাটির এক বাসিন্দাকেও একই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে খবর। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা হবে। করোনা সংক্রমণের বিন্দুমাত্র লক্ষ্মণ মিললে, সেইমতো চিকিৎসা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই তাঁদের রক্তের নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের থাবায় চিনে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণও। এই পরিস্থিতিতে করোনার আঁতুরঘর ইউহান এবং সংলগ্ন শহরগুলিতে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে দু’দফায় বিশেষ বিমান পাঠিয়েছে ভারত। তাতেই দিল্লি ফিরেছেন তিনশোরও বেশি ভারতীয়। দিল্লিতে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। প্রয়োজন বুঝে অনেককেই ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। যাঁদের সন্দেহভাজন মনে হয়নি, তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সেভাবেই দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানের এক যুবক ফিরেছেন বাড়িতে। তিনি গত মাসে কাজের সূত্রে চিনে গিয়েছিলেন। যে বিমানে ওই যুবক ফিরেছেন, তাতে তাঁর সহযাত্রী ছিলেন চিন ফেরত কেরলের বাসিন্দারাও। কেরলের এক বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই বিমানে ফেরার ফলে গাঙ্গুলিবাগানের যুবকের শরীরেও করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা জানতে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে। চিন ফেরত বাঙালিদের উপর নজর রেখেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্যকর্তাদের পরামর্শ মেনেই গাঙ্গুলিবাগানের এই যুবক হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। একইভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন চিন ফেরত নৈহাটির এক বাসিন্দা। উভয়েরই রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে পুণের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ল্যাবে। সেখান থেকে আসা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা চলবে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার পরও হোম আইসোলেশন অর্থাৎ নিজের বাড়িতে আলাদা জায়গায় থাকতে হবে, যাতে কোনওরকম সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।
এদিকে, রাজস্থানে ফের ২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ সন্দেহে তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজমেরের দম্পতি চিনে হানিমুনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এর আগে জয়পুরের এক চিকিৎসককেও করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভরতি চলে চিকিৎসা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.