অঙ্কন: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌতম ব্রহ্ম: এনআরএসের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গতকাল দুপুরে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ বছরের এক মহিলার। তাঁর রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার আগেই ফের আরেক মৃত্যু হল আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
রোগীর বয়স ৬২। গত রবিবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন ওই প্রবীণ। প্রথমে তাঁকে চেস্ট মেডিসিনে রেফার করেন এমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার। কিন্তু ওই বিভাগের ডাক্তার রোগীকে ভরতি নিয়ে অস্বীকার করেন। পরে সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়। এখানেই করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের ভরতি করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, দিন ছয়েক আগে ওই প্রবীণ ও তাঁর স্ত্রীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হয়। দুজনকেই আর জি করে নিয়ে আসা হয়। ডাক্তারবাবুরা ওষুধ দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। স্ত্রীর অসুস্থতা কমে গেলেও প্রবীণ ব্যক্তির কাশি বাড়তেই থাকে। বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্টও। রবিবার সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে বাড়ি থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারবাবুরা রোগীকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। পরিবারের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ সাফ জানিয়ে দেয়, তাদের এখনও রোগী ভরতি বন্ধ আছে। বাধ্য হয়েই এনআরএসে নিয়ে আসা হয় ওই প্রবীণকে। চেস্ট মেডিসিন বিভাগ প্রত্যাখ্যান করায় ভরতি করা হয় আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
অক্সিজেন দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন রোগীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান। যদিও তাতে রাজি হননি সুপার। তিনি জানিয়েছিলেন, “রোগীর সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে আপনারা রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে পারেন। নচেৎ রোগীকে সরানোর কোনও উপায় নেই।” শুরু হয় অপেক্ষা। সোমবার রিপোর্ট আসেনি। মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই প্রবীণের। যদিও রিপোর্ট এখনও পায়নি এনআরএস।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ এক মাঝবয়সি মহিলার মৃত্যু হয় এই আইসোলেশন ওয়ার্ডেই। তাঁর রিপোর্টও এখনও এসে পৌঁছয়নি এনআরএসে। তার আগেই আরেক মৃত্যু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.