অর্ণব আইচ: কলকাতার কোনও থানার হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীর কি অপরাধের রেকর্ড রয়েছে কাশ্মীর বা কন্যাকুমারীতে? সারা দেশের অন্য কোনও জায়গায় অপরাধ করে সে কি আশ্রয় নিয়েছে কলকাতায়? আঙুলের ছাপ দেখে মুহূর্তের মধ্যে তা বুঝতে পারবেন কলকাতার থানার আধিকারিকরাই। আবার একইভাবে কলকাতায় কোনও অপরাধ করে অপরাধী সারা দেশের কোনও প্রান্তে গা ঢাকা দিয়েছে কি না, সেই তথ্যও ভিনরাজ্যে গ্রেপ্তারির পর সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন সেখানকার থানার অফিসাররা।
পুলিশ জানিয়েছে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) আওতায় চালু হচ্ছে ন্যাশনাল অটোমেটিক ফিঙ্গার আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম (নাফিস)। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, কলকাতার ন’টি ডিভিশনের সদর অফিসে নিয়ে আসা হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যন্ত্র। লালবাজারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক থানার ওসিদের বলা হচ্ছে, যে কোনও অপরাধী গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁরা যেন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে ডিভিশনের সদর অফিসে ওই অপরাধীদের পাঠান। সেখানেই স্ক্যান করা হবে অপরাধীদের আঙুলের ছাপ। একইসঙ্গে তাদের ছবিও তুলে রাখা হবে।
কম্পিউটারে ফাইলে নথিভুক্ত করা হবে ওই অপরাধী তথা অভিযুক্তর নাম, ঠিকানা, বিস্তারিত বিবরণ, ছবি ও তার সঙ্গে আঙুলের ছাপ। এর আগে বহু বছর ধরেই লালবাজারে রেকর্ড রাখা হয় অপরাধীদের আঙুলের ছাপ ও বিবরণ। কিন্তু এবার থেকে জাতীয় প্রকল্প ‘নাফিস’-এর মাধ্যমে অনলাইনে প্রত্যেক অপরাধীর বিবরণ পাঠানো হবে এনসিআরবিকে। এর ফলে সারা দেশে তৈরি হবে অপরাধীদের ডেটাবেস, যার মূল অংশ নেবে আঙুলের ছাপ। প্রত্যেকটি থানার কাছেও থাকবে অপরাধীদের এই ডেটাবেস।
এই ব্যবস্থার ফলে কোনও অপরাধী কলকাতায় গ্রেপ্তারের পর তার আঙুলের ছাপ গ্রহণ করলেই ‘নাফিস’-এর মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারা যাবে, সেই অপরাধী আগেও দেশের কোথাও অপরাধ করেছে কি না। এমনকী, অপরাধী যদি ভোলপালটে থাকে, তবে তার আঙুলের ছাপই জানিয়ে দেবে, সে এর আগে কোন রাজ্য বা শহরে ঘটিয়েছে কী ধরনের অপরাধ। এর ফলে পলাতক অপরাধীকেও শনাক্ত করা সহজ হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.