কৃষ্ণকুমার দাস: পুজোর সময় বিক্রি না হওয়া রান্না খাবার মজুত করতে পারবে না কলকাতার কোনও হোটেল ও রেস্তরাঁগুলি। অবিক্রিত খাদ্যসামগ্রী গোপনে সরিয়ে রেখে পরে তা বিক্রির চেষ্টা করলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুরসভা (KMC)। শুধু তাই নয়, পাঁচতারা বা সাততারা হোটেলগুলিতেও করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাছ-মাংস নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে। উৎসবের মরশুমে জনগণের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে শুক্রবার এমনই বেশ সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।
পুজোয় খাবারের গুণমান নজরদারি নিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক অতীন ঘোষ বলেন, “করোনার জেরে ফুড স্টল থেকে সাততারা হোটেল, সর্বত্র খাদ্য মজুত করার একটা প্রবণতা থাকবে। তাই ফ্রিজ ও অন্যান্য সংরক্ষণ ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে টানা ১২ দিন ফুড সেফটি (Food Safety) অফিসার ও কর্মীরা এই নজরদারির অভিযান চালাবেন। সঙ্গে থাকবে পুরসভার নিজস্ব ফুড ল্যাবরেটরি। সাধারণ মানুষ চাইলে যে কোনও রেস্তরাঁ বা হোটেলের খাবার নিয়ে পুরসভায় সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।”
শুক্রবারই তৈরি হয়ে গিয়েছে টিম। জানা গিয়েছে, প্রতি টিমে চারজন করে ফুড সেফটি অফিসার ও পাঁচজন করে পুরকর্মী থাকবেন, অর্থাৎ ৯ জনের টিম নজরদারি চালাবে। শহর জুড়ে আটটি মোবাইল ফুড সেফটি টিম কাজ করবে। একটি টিম পুরভবনে থাকবে। মোট ন’টি ফুড সেফটি টিম পুজোর সময় ফুটপাথের ফুড স্টল থেকে সাততারা হোটেলের রান্না করা খাবারের গুণমান নিয়ে বিশেষ নজরদারি করবে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ।
অন্যদিকে, পুজোর বাজারে করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরে কেনাকাটা করার জন্য পুরসভার তরফে ক্রেতাদের কাছে আবেদন করা হবে। বিশেষ করে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগানের মত জনবহুল শপিং জোনে এই প্রচার চলবে। তবে যাঁরা মাস্ক পরে পুজো শপিং করতে আসবেন না, পুরসভার তরফে তাঁদের সার্জিক্যাল মাস্ক বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রশাসক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.