কৃষ্ণকুমার দাস: বেলগাছিয়া, রাজাবাজারের বসতিগুলিতে যে পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রোখা গিয়েছে, এবার কলকাতার বাজার এলাকাগুলিতেও তেমন বিশেষ অভিযানে নামছে পুরসভা। বাজারগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা, ক্রেতা-বিক্রেতাদের Random নমুনা পরীক্ষা, নজরদারি-সহ একাধিক পদক্ষেপ মঙ্গলবার থেকেই কার্যকরী হবে। আজ বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এই মুহূর্তে কলকাতার করোনা চিত্র খানিকটা এরকম – বসতি এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না। সেখানে নিয়মিত স্প্রে করে, বাসিন্দাদের হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন খাইয়ে সংক্রমণ রোখা গিয়েছে। এবার বেশি করোনা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বহুতলের বাসিন্দারা। উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের বসবাস যেখানে, সেসব এলাকা থেকে সংক্রমণের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। কেন এসব জায়গা বাড়ছে সংক্রমণ? তার উৎস খুঁজে বের করেছে পুরসভার মাইক্রো প্ল্যানিং টিম। ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন, এইসব এলাকার বাজারগুলিই সংক্রমণের মূল উৎস। এখন বাজার খুলে যাওয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে মানুষজন বাজারে যাচ্ছেন প্রায় রোজই। সেখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তাই সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
একথা জানার পর পুরসভার বৈঠকে আজ স্থির হয়েছে, কলকাতার সমস্ত বড় বাজারগুলিতে বিশেষ অভিযান শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে। জীবাণুনাশক স্প্রে করে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এই মুহূর্তে যেহেতু উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তাই সোয়াব টেস্টের আগে সকলের Random টেস্ট দরকার। পুরসভার তরফে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরে ঘুরে বাজারগুলি থেকে সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবে। এছাড়া সকলে মুখে মাস্ক পরছেন কি না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন কি না, তাও নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এছাড়া এদিনের বৈঠকে আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার অধীনে থাকা ৪৬ টি বাজার আজ থেকে খুলে গেলেও সেখানে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলবে, তা দেখার দায়িত্ব আর পুরসভা নেবে না। সেই দায়িত্ব নিতে হবে বাজার কমিটিগুলিকে। নিয়মিত স্যানিটাইজ করা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ – সমস্ত নজরদারির দায়িত্ব এবার কমিটির। যদিও দেখা যায়, ওই বাজার এলাকাগুলোয় সংক্রমণ বাড়ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.