Advertisement
Advertisement

Breaking News

KMC

দুয়ারে বর্ষা, চোখ রাঙাচ্ছে ‘রেমাল’, শহরে জল জমা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে কড়া ব্যবস্থা পুরসভার

সিইএসসি-র পরিষেবা নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে পুরসভা।

KMC to take preventive measures against water logging in Kolkata
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 22, 2024 9:40 am
  • Updated:May 24, 2024 1:26 pm

অভিরূপ দাস: আমফানের অভিজ্ঞতা যেন আর না হয়। সিইএসসি-র পরিষেবা নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে পুরসভা।
দুয়ারে বর্ষা। এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তড়িঘড়ি শহরে জল জমা সমস‌্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার পুরসভায় বর্ষা বৈঠক ডাকেন কলকাতা পুর সচিব স্বপন কুণ্ডু। হাজির ছিলেন একাধিক দপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিইএসসি-কে দেওয়া হবে কড়া চিঠি। ভারি বৃষ্টিতে কিংবা ঘূর্ণাবর্তের সময় যেন কোনওভাবেই শহরের মূল পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ‌্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়। সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে সিইএসসি-কে।

[আরও পড়ুন: গভীর রাতে হিরণের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে পুলিশি হানা, ‘ষড়যন্ত্র’, দাবি বিজেপি প্রার্থীর]

এদিনে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাম্পিং স্টেশনের পাশাপাশি কলকাতার যে সমস্ত এলাকায় জল জমার প্রবণতা বেশি সেখানে এ বছর মজদুর মোতায়েন করা হবে। কোথায় কোথায় হবে এই ‘লেবার ডেপ্লয়মেন্ট’? 

Advertisement

কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকা এবং মহাত্মা গান্ধী রোডে মোতায়েন হবে মজদুর। জল নামানোর জন‌্য শ্রমিক থাকবে ডায়মণ্ড হারবার রোড, সেন্ট্রাল অ‌্যাভিনিউ, বিধান সরণী, ইএম বাইপাসেও। স্থায়ী পাম্পিং স্টেশনের পাশাপাশি এবছর জল নামাতে ১৮৬টি পোর্টেবল পাম্প লাগাচ্ছে পুরসভা। পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, ১০ জুন বর্ষা ধরে সে সমস্ত পাম্প লাগানোর কথা। নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, আচমকা ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটিতে অতদিন অপেক্ষা করতে চাইছে না পুরসভা। আজ বুধবার থেকেই সে সমস্ত পাম্প লাগানো শুরু হবে।

Advertisement

শহরে জমা জল সমস‌্যা সমাধানে সেচ দপ্তরের সঙ্গে নিবিড় আলোচনায় বসছে পুরসভা। দক্ষিণ কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার অন্যতম ভরসা সন্তোষপুরের মণিখাল ও ইএম বাইপাসের কেপিটি খাল। রয়েছে প্রগতি ময়দান থানার চৌবাগা খালও। এই প্রতিটি খাল সেচদপ্তরের অন্তর্গত। এগুলি যাতে পরিষ্কার রাখা হয় তার জন‌্য সেচদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে পুরসভা।

[আরও পড়ুন: ‘সম্মানহানি হয়েছে’, কমিশনের ‘নিষেধাজ্ঞা’র বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি অভিজিতের]

শহরের বানতলা লকগেটের দায়িত্বে রাজ্যের সেচদপ্তর। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তা নিয়ন্ত্রণে এই লকগেটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেচদপ্তরের সঙ্গে এই লকগেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনায় বসছে পুরসভা। এদিন বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সেচদপ্তরের পাম্পিং স্টেশনগুলিকেও সচল রাখতে বলা হবে। মহানগরের বেলগাছিয়া বসতি নিয়েও চিন্তিত পুরসভা। ফি বছর এখানে জল জমার সমস‌্যা গা সওয়া। এখন থেকেই প্রতিদিন নিয়মিত বেলগাছিয়া বসতি এলাকার নিকাশি নালা সাফ রাখতে বলা হয়েছে সাফাইকর্মীদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ