কৃষ্ণকুমার দাস: প্রবল গরমে শহরে জলের চাহিদা মেটাতে দৈনিক ৭.৫ কোটি গ্যালন বাড়তি পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা। এর মধ্যে গার্ডেনরিচে ২ কোটি ৫০ লক্ষ, পলতায় ২ কোটি, ধাপার জয় হিন্দে ২ কোটি ও গড়িয়ার নতুন জলাধার থেকে ১ কোটি গ্যালন জল সরবরাহ করা হবে বলে
মঙ্গলবার অধিবেশনে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
একইসঙ্গে মেয়র স্বীকার করেছেন টালিগঞ্জ, যাদবপুর এবং বেহালার একাংশে এখনও পানীয় জলের জোগানের ঘাটতি রয়েছে। তবে সেই সমস্ত এলাকায় গাড়ি করে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার তরফে সকাল-বিকেল দু’বেলাই গরিব এবং মধ্যবিত্ত বাসিন্দাদের চাহিদামাফিক গাড়ি পৌঁছে বিনা পয়সায় জলের জোগান দিচ্ছে বলেও মেয়র জানান। কলকাতার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এদিন বাম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী শহরের একাধিক এলাকায় পানীয় জলের সংকটের বিষয়টি উত্থাপন করেন। প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মেয়র জানান, “গরমে প্রতিবছরই পানীয় জলের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। আর যাদবপুর, টালিগঞ্জ ও
বেহালার যে অংশে জলের চাহিদা বাড়ছে সেই এলাকাগুলিতে প্রতিবছরই নতুন করে প্রচুর ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে। স্বভাবতই ওই এলাকাগুলিতে বাসিন্দা বৃদ্ধির জেরে জলের চাহিদাও বাড়ছে। তাই পুরসভাও এবছরও বাড়তি জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছে।”
এরপরই মেয়র তথ্য দিয়ে জানান, চালু জল উৎপাদন কেন্দ্রগুলি ছাড়াও নতুন একটি প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে। গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের কাছে কেএমডিএ-র সাত একর জমিতে ওই প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। ঢালাই ব্রিজের ওই প্রকল্পের বাড়তি জল বারুইপুর ও সোনারপুর
পুরসভাকেও দেওয়া হবে বলে কেএমডিএ সূত্রে খবর। এছাড়াও চলতি গার্ডেনরিচ, পলতা, জয়হিন্দ পাম্পিং স্টেশন থেকেও ২০-২৫ মিলিয়ন গ্যালন বাড়তি জল সরবরাহের টার্গেট করা হয়েছে।
সংযোজিত এলাকাগুলিতে পাইপলাইনে জলের গতিবেগ বৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে বেশ কয়েকটি রিজার্ভার ও বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে বলেও মেয়র অধিবেশনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।দাবদাহের পাশাপাশি বায়ুমন্ডলের শুষ্কতার জেরে মহানগরের ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও আগের তুলনায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে। তাই ডিপ টিউবওয়েল থেকে এখন জলের জোগানও কিছুটা কম হচ্ছে বলে রিপোর্ট এসেছে পুরসভায়। মেয়র জলস্তর নেমে যাওয়ার তথ্য
উল্লেখ করে এদিন জানান, কলকাতার বিশুদ্ধ পানীয় জলের জোগান দিতে গঙ্গা থেকে জল তুলে নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.