অভিরূপ দাস: বয়সের ভারে ন্যুব্জ, কিম্বা শারিরীকভাবে গুরুতর অসুস্থ। বাড়ি থেকে বেরতে পারেন না, কম্পিউটারে অতটা সড়গড় নন শহরের এমন মানুষদের জন্য বিশেষ স্কিম আনল কলকাতা পুরসভা (KMC)। তার নাম ‘নগরবন্ধু’। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় এই স্কিমের উদ্বোধন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, মেয়র পারিষদ (আইটি) সন্দীপন সাহা।
কীভাবে কাজ করবে ‘নগরবন্ধু’ ?
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বয়স্ক মানুষদের পক্ষে পুরসভায় আসা সবসময় সম্ভব হয় না। এখন অনেক পরিষেবা অনলাইনে (Online)। কিন্তু প্রবীণরা স্মার্ট ফোনের সঙ্গে সড়গড় নন। এমন ক্ষেত্রে পুর আধিকারিকরা বাড়িতে গিয়ে অনলাইনে সমস্ত ফর্ম পূরণ করে দেবেন। তার জন্য হোয়াটস অ্যাপে খবর দিতে হবে পুরসভাকে। ৮৩৩৫৯৯৯১১১ এই নম্বরে হোয়াটস অ্যাপে জানাতে হবে সমস্যা। দ্রুত বাড়িতে পৌঁছে যাবেন পুরসভার আধিকারিকরা। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ‘নগরবন্ধু’ পরিষেবা।
মিউটেশনের কাজ থেকে শুরু করে জন্ম-মৃত্যুর পর শংসাপত্র। সমস্ত সাহায্যই মিলবে নগরবন্ধু পরিষেবায়।
মেয়রের কথায়, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। বয়স্ক মানুষরা কম্পিউটার চালাতে জানেন না। তেমন ক্ষেত্রে পুর আধিকারিকরা প্রবীণদের (Senior Citizens) বাড়িতে ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন। তাদের হয়ে সমস্ত ফর্ম পূরণ করে দেবেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত এই পরিষেবা বিনামূল্যে থাকলেও আগামী দিনে এই পরিষেবা ব্যবহারের জন্য টাকা দিতে হবে।
শহরের একাধিক বাড়ির এখনও মিউটেশন (Mutation) করা হয়নি। দেখা গিয়েছে, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই প্রবীণদের পক্ষে আসা সম্ভব হয় না কলকাতা পুরসভায়। অশীতিপর ব্যক্তিরা প্রায়ই মেয়রকে ফোন করে জানান, ‘‘আমাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করুন।’’ মেয়র এদিন বলেছেন, ‘‘শুধু মিউটনেশন নয়, জন্মের শংসাপত্র, মৃত্যুর শংসাপত্র, অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করতে পারছেন না, কিম্বা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট নির্ণয় করতে পারছেন না সকলকেই সাহায্য করবে নগরবন্ধু।’’
চলাফেরা করতে অক্ষম, এমন অনেকেই বাড়ির ট্যাক্স দিতে যেতে পারছেন না। তবে কি এই পরিষেবায় নগদে টাকা নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে? পুর কমিশনার বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, নগদে টাকা নিতে পারবেন না আধিকারিকরা। তবে ড্রাফট হিসেবে দিলে তাঁরা তা সংগ্রহ করে নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.