সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও ‘ডিজিটাল’ হচ্ছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। অধিকাংশ কাজ-ই হয়ে যাবে অ্যাপে। শহরের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানান যাবে হোয়াটস অ্যাপেই। শপথ নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের শহর বানাতে একাধিক পদক্ষেপ করবে পুরসভা, এদিন তার-ই নীলনক্সা তুলে ধরলেন কলকাতার মেয়র।
দ্বিতীয়বার কলকাতার মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণের পর কী কী বললেন ফিরহাদ হাকিম?
- এবার থেকে অ্যাপের মাধ্যমে জমি-বাড়ি মিউটেশেন, বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন দেবে কলকাতা পুরসভা। এছাড়াও জলের লাইন, করের আবেদনও করা যাবে অনলাইনে।
এখন ১ মাসের মধ্যে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন মিলবে। পরে ১৫ দিনের মধ্যে এই ছাড়পত্র মিলে যাবে।
- ‘টক টু মেয়র’ (Talk to Mayor) চলবে। এবার থেকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ জানানো যাবে। মেয়র অফিসের হোয়াটস অ্যাপ নম্বর দেওয়া থাকবে। কোনও এলাকার সমস্যার ছবি তুলে সেখানে পাঠান যাবে। সেই ছবি পৌঁছে যাবে মেয়রের কাছে। সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে সেই ছবি তুলে অভিযোগকারীর কাছে পৌঁছে যাবে।
- হকার ও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নতুন নীতি আনবে পুরসভা। ফুটপাথে থাকা দোকানে ইলেকট্রিক ওভেন ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
- কলকাতার বাতাসের গুনমান বৃদ্ধির জন্য সবুজায়নে জোর। ব্যবহার হবে মিস্ট কামান-ও।
- ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন। সম্ভব হলে বরোগুলিতে মেয়র ক্লিনিক তৈরি।
- মেয়রের কথায়, “বিরোধী বন্ধুরা বলেন, কলকাতা লন্ডন হয়নি, ভেনিস হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বলব ভেনিস দেখতে হলে চেন্নাই-দিল্লি-মুম্বই যান।” কলকাতার ৬টি পকেটে জল জমে। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০টি পাম্পিং স্টেশন হবে। খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পাইপ লাইন বসান হবে।
- কলকাতার হেরিটেজ বিল্ডিং রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা। আসতে পারে বিশেষ আইন। সাজিয়ে তোলা হবে ঐতিহ্যমণ্ডিত অংশগুলি। প্রোটেকশন ফান্ড তৈরি করা হবে।
- বসতি রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা। প্রোমোটাররা যাতে বসতির দখল নিতে না পারে তার জন্য বসতিবাসীদের জন্য নিজের বাড়ির ব্যবস্থা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তৈরি হবে ঘর।