ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের করোনা (Coronavirus) গ্রাফ কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে সকলের। এই পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন করোনা রোগীরাও উদ্বেগের কারণ। তাঁদের মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারেন বহু মানুষ। তাই শহরের উপসর্গহীন সংক্রমিতদের খুঁজে বের করতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। এবার থেকে পালস অক্সিমিটার নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শনিবার সেকথা জানান রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, আগে শুধুমাত্র থার্মাল গান নিয়ে পরীক্ষা করতেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে এবার তাঁদের সঙ্গে থাকবে পালস অক্সিমিটার। তার ফলে বোঝা যাবে কোনও ব্যক্তির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক কীরকম রয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ওই পালস অক্সিমিটারের মাধ্যমে তা ধরে ফেলা সম্ভব হলে, খুব সহজেই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যাবে। তার ফলে কোনও ব্যক্তি উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত কিনা, তা বোঝা সম্ভব হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে শহরের গরিব মানুষদের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং প্রতিষেধকও দেওয়া হবে।
কলকাতায় সংক্রমণ বাড়ছে যথেষ্ট। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিনকয়েক আগে স্পষ্ট জানিয়েছেন, শহরে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ। তবে তা সত্ত্বেও শহরের আবাসনগুলি চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের। কারণ, শনিবারই স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, বসতি এলাকার তুলনায় বর্তমানে আবাসনগুলিতেই বেশি বাড়ছে সংক্রমণ। বসতি এলাকায় ঢুকে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। তবে আবাসনে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যদিও গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শহরে ২৪ থেকে বেড়ে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩২ হয়েছে। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে এখনই রাজ্যে নতুন করে লকডাউনের কোনও সম্ভাবনা নেই। পরিবর্তে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, বাড়তে পারে শহরের কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.