কৃষ্ণকুমার দাস: রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নিয়ে পরিবেশপ্রেমী-রাজ্য সরকার কাজিয়া অব্যাহত। তার মাঝেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরোবর পরিষ্কারের কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সরোবরের প্রায় বেশিরভাগ জায়গাই পরিষ্কার করে ফেলেছেন পুরকর্মীরা।
আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবারের পর রবিবার সকালেও রবীন্দ্র সরোবরে অবাধে চলল ছট পুজো। পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে ছট পুজো চলাকালীন বাইরে পুলিশি প্রহরা ছিল। কিন্তু রবিবার সকালে এক্কেবারে সরোবরের ভিতরেই ছিল পুলিশ। তা সত্ত্বেও রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।
গ্রিন ট্রাইবুনালের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবারের পর রবিবার সকালেও রবীন্দ্র সরোবরে চলে ছট পুজো। পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার তরফে লোক দেখানো নিষেধাজ্ঞার নোটিস জারি করা হয়েছিল ঠিকই। তবে পুলিশ তা রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরিবর্তে ‘নীরব’ দর্শকের ভূমিকা পালন করে সরোবর ছট পুজোর সুযোগ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুণ্যার্থীদের কার্যকলাপে যাচ্ছে তাই অবস্থা সরোবরের। জলের মধ্যে ভাসতে থাকে তেল, ঘিয়ের আস্তরণ। যেখানে-সেখানে পড়ে ছিল পুজোর ফুল। তবে রবিবার সকালে কলকাতা পুরসভার সলিড ওয়েড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তরফে সরোবর পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরোবরে নেমে ফুল, ঝুড়ি-সহ নানা কঠিন পদার্থ তুলে ফেলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও ঝাঁট দিয়ে সরোবরের আশেপাশে পড়ে থাকা ফুল, প্লাস্টিক প্যাকেট ফেলে দেওয়া হয়।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রবীন্দ্র সরোবর পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে ঠিকই। তবে সরোবরে ছট পুজো করতে দেওয়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পরিবেশকে বিপন্ন করে রাজ্য সরকার অবাঙালিদের রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করার সুযোগ করে দিয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। তবে জলদূষণ ঠেকানো গেলেও, যাযাবর ওই ভিনদেশের পাখিরা ডিজে এবং শব্দবাজির দৌরাত্ম্যে সরোবর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে বলেই সন্দেহ পরিবেশ কর্মীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.