রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কলকাতা পুরভোটেও (Kolkata Municipal Corporation) বিজেপির আশা ভঙ্গ। গতবারের অর্থাৎ ২০১৫ সালের জেতা ৭টি আসনও ধরে রাখতে পারল না তারা। শুধু তাই নয়, সেই দশ বছর আগেই আবার ফিরে গিয়েছে গেরুয়া শিবির।
২০১০ সালে যখন বঙ্গে বিজেপির (BJP) কোনও সংগঠনই ছিল না, বড় বাজারের পার্টি বলে পরিচিত ছিল তারা, সেই সময় তিনটি ওয়ার্ড দখল করেছিল বিজেপি। ২০১০ সালে ২২, ২৩ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড দখল করেছিল তারা। কাউন্সিলর ছিলেন মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝা ও সুনীতা ঝাওয়ার। এবার যথাক্রমে ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মীনাদেবী ও বিজয় আবার জিতেছেন। এছাড়া ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে সজল ঘোষ। তিনটি আসন এসেছে। ৪২ এর কাউন্সিলর সুনীতা ঝাওয়ার অবশ্য এবার হেরে গিয়েছেন। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটও এবার ৯ শতাংশে চলে এসেছে। গত ২০১৫ সালে যা ছিল ১৫ শতাংশে। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হওয়া বিজেপি এবার কলকাতা পুরভোটে ওয়ার্ডের স্থান ও প্রাপ্ত ভোট শতাংশের নিরিখে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। বামেরা (Left Front) চলে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।
বস্তুত, কলকাতায় কোনওদিনই তেমন সাংগঠনিক শক্তি ছিল না বিজেপির (BJP)। ২০১৫ সালে যখন রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি সবে প্রাসঙ্গিকতা পাচ্ছে তখনও কলকাতা পুরসভায় গোটা সাতেক আসন জিতেছিল গেরুয়া শিবির। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে গেরুয়া শিবির হঠাতই ফুলে ফেঁপে ওঠে। ২০১৯ লোকসভার নিরিখে হিসাব করলে কলকাতার ২২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সেই সাফল্যের পর কলকাতায় সংগঠন বাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায় বিজেপি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেই গেরুয়া শিবিরের সেই স্বপ্ন ধাক্কা খায়। সেবারে আসন অনেকটাই কমে। ২০২১ পুরনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। ফের ১১ বছরের আগের ফলাফলে ফিরল গেরুয়া শিবির। অনেকটা কমে গেল ভোটের হারও।
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য বলছে ভোটই যেখানে লুঠ হয়েছে। সেখানে এইসব কোনও বিষয় নয়। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) আবার অভিযোগ, বামেদের তুলে আনতে চাইছে তৃণমূল। সিপিএমের হয়েও ছাপ্পা দিয়েছে শাসক শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.