Advertisement
Advertisement

Breaking News

KMC

এবার বস্তি-কলোনির নির্মাণের অনুমোদন দেবে পুর-কমিটি, ঘোষণা ফিরহাদের

গার্ডেনরিচ-বাঘাযতীনে বাড়ি ভেঙে পড়ার পরই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়র।

KMC committee for construction in colony
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 26, 2025 2:07 pm
  • Updated:February 26, 2025 2:07 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: মহানগরের বস্তি, কলোনি ও ঠিকা জমিতে ন্যূনতম ‘ফি’ নিয়ে প্ল্যান অনুমোদন এবং নির্মীয়মাণ বাড়ির বৈধতার সার্টিফিকেট দিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। তিন মেয়র পারিষদ, ডিজি বিল্ডিং ও সার্ভের চিফ ম্যানেজারকে নিয়ে গঠিত কমিটি এই সংক্রান্ত সুপারিশ করার পর মেয়র পারিষদ বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম একথা জানিয়ে বলেন, “মূলত বস্তি-কলোনি ও ঠিকা জমিতে বসবাস করা গরিব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে সুবিধা দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাথায় রেখে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল।”

অবশ্য এই বিশেষ কমিটি বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট এবং পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে তবে কলোনি বা বস্তিতে তৈরি হওয়া বাড়িকে ‘বৈধতা’ দেওয়ার পথে হাঁটবে বলেই এদিন মেয়র স্পষ্ট করেছেন। বিল্ডিং সংক্রান্ত কমিটির তিন মেয়র পারিষদ হলেন দেবব্রত মজুমদার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

গার্ডেনরিচ-বাঘাযতীনে বাড়ি ভেঙে পড়ার পরই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়র। কমিটির সুপারিশ দেখেই পুরসভার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর বরোর যেসব বসতবাড়ির পুর কর, প্ল্যান-অনুমোদন ও নাগরিক পরিষেবা কর নিয়ে সমস্যা চলছে, সেগুলিরও সমাধান করা হবে। বিধানসভা ও পুরসভা নির্বাচনের আগের বছরে পুরকর ও বিল্ডিং প্ল্যান নিয়ে ফিরহাদের এই সিদ্ধান্ত যে তৃণমূলের মধ্যবিত্ত-ভোটব্যাঙ্কে জোয়ার আনবে, তা স্বীকার করেছেন বিরোধীরা।
বিল্ডিং নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তৈরি করা এই কমিটির লক্ষ্যমাত্র নিয়ে মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদারের ব্যাখ্যা, “আইনি কাঠামোর মধ্যে যতটা সম্ভব পুর কর কমিয়ে দিলে পুরসভার কোষাগারে রাজস্ব যেমন অনেক বেশি আসবে ঠিক তেমনই মধ্যবিত্ত বাঙালি আর অসৎ প্রোমোটারের পাল্লায় পড়বে না। আবার তিন কাঠা বা তার কম জমিতে ন্যূনতম নিকাশি এবং রাস্তার ছাড় দিয়ে যদি বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হয়, তবে মধ্যবিত্ত বাঙালির নিজস্ব বৈধ বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ইচ্ছাও পূরণ হবে।”

বাজেট নিয়ে সমাপ্তি ভাষণে বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলরদের কটাক্ষ করে এদিন মেয়র বলেন, “কোভিডের সময় কেন্দ্রে আপনাদের সরকার বেআইনিভাবে আমায় গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু বেরিয়ে এসে আগে ভ্যাকসিন নিয়ে পরিষেবা চালিয়ে গিয়েছি। সব বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ ছিল। কিন্তু পুরসভার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররা রোজ কাজ করেছেন। আমরা হৃদয় দিয়ে কাজ করি। তাই দেশের সেরা শহর কলকাতা।”

বামেদের তীর আক্রমণ করে মেয়র বলেন, “বামেরা জমি-সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছে। কিন্তু বর্তমান তৃণমূলের বোর্ড অমুল্যায়িত সম্পত্তি সংগ্রহ করে কাজে লাগিয়ে পুর তহবিলে অর্থ সংগ্রহ করে ঘাটতি কমিয়েছে।” বাজেটের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার, তারক সিং, সন্দীপ নন্দী মজুমদার, অরিজিৎ দাসঠাকুর। বিরোধিতা করে আক্রমণ করেন কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক, বিজেপির বিজয় ওঝা প্রমুখ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub