কৃষ্ণকুমার দাস: ডেঙ্গু (Dengue) ও ম্যালেরিয়ার (Malaria) জীবানু বহনকারী লার্ভার নজরদারিতে আবাসন বা বাড়িতে পুরকর্মীদের ঢুকতে না দিলে গ্রেপ্তার হতে পারেন বাধাদানকারী। দেশের মহামারী আইনের উল্লেখ করে শনিবার পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
অভিযোগ, “করোনার অজুহাত দেখিয়ে মহানগরের বহু বাড়ি বা আবাসনের বাসিন্দারা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন পাত্র বা অংশে জমা জলে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার লার্ভা পরীক্ষায় ঢুকতে দিচ্ছেন না। বেশ কিছু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সরকারি কার্যালয়েও স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” বিষয়টি এদিন উল্লেখ হতেই দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন মুখ্যপ্রশাসক। উল্লেখ, গত দু’সপ্তাহে পূর্ব কলকাতার পাশাপাশি তিলজলা, তপসিয়ার মতো বেশ কিছু ওয়ার্ডে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার দাপট শুরু হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা কেমন আছেন ও পরিবারের ১৮ ঊর্দ্ধরা সবাই টিকা পেয়েছেন কি না তা জানতে বাড়ি বাড়ি পুরকর্মীরা যাচ্ছেন। একইসঙ্গে কোনও বাড়ির ছাদে বা ফুলের টবে এবং ঘরের পিছনের কোনও পাত্রে বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গুর লার্ভা হয়েছে কি না তাও জানতে নজরদারি চালাচ্ছেন পুরকর্মীরা। বাড়ির ফ্রিজের ট্রে বা উইন্ডো এসি মেশিনের নিচে জমা জলেও ডেঙ্গুর লার্ভা জন্মাতে পারে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণের অজুহাত দেখিয়েই আবাসনের ভিতরে দারোয়ান বা বাড়ির মালিকরা পুরকর্মীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন।
বস্তুত এই বিষয়টি নিয়ে এবার আইন মেনে কড়া ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও নীলরতন হাসপাতালের মতো শহরের একাধিক বড় চিকিৎসা কেন্দ্রে ময়লা ও জমা জলে ডেঙ্গুর লার্ভা জন্মাচ্ছে। পুরসভার শীর্ষস্বাস্থ্যকর্তা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করলেও ওই প্রতিষ্ঠান মশা দমনে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যপ্রশাসক বলেন, “ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে সরকারের শীর্ষস্তরে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.