কৃষ্ণকুমার দাস: আজ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অফিস খুলেছে। ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি কর্মক্ষেত্র। তবে কলকাতা পুরসভায় ১০০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক। আনলকের প্রথম দিন পুরকর্মীদের বেশিরভাগ অফিসে গেলেও অসুবিধা হয়েছে তাঁদের। এই অসুবিধার কথা শুনে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এবার থেকে কলকাতার বাইরের কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েন্টে বাস পাঠাবে পুরসভা। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসা হবে এবং কাজ শেষে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আপাতত কর্মীদের আনতে যে কটি জায়গায় বাস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা, সেগুলি মূলত কলকাতা লাগোয়া চার জেলা – হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কোন জেলার কোন পয়েন্টে বাস যাবে, তা একঝলকে দেখে নেওয়া যাক –
পুরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই জায়গাগুলি থেকে কর্মীদের বাসে নিয়ে আসা হবে। কারও বাড়ির সামনে আলাদা করে বাস যাবে না। নিজেদের বাড়ি থেকে সকলে এই পয়েন্টগুলিতে জমায়েত হবেন। সেখান থেকেই বাসে উঠবেন। এ বিষয় কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ”লোকাল ট্রেন বন্ধ এখন। অন্যান্য গণপরিবহণ পেতেও একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই এসব ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, নাগরিক পরিষেবা দিতে গেলে ১০০ শতাংশ কর্মী প্রয়োজন।”
পুরসভার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কোন কর্মী কোথা থেকে আসছেন, তার একটা তালিকা তৈরি করতে। তালিকাটি পুরসভার স্পেশ্যাল কমিশনারের কাছে জমা পড়বে। সেই অনুযায়ী বাস পাঠানোর ব্যবস্থা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
সোমবার পুরসভায় ৯০ শতাংশের বেশি কর্মীই হাজির ছিলেন। তবে বিভিন্ন বিভাগে সরাসরি জনতার সঙ্গে লেনদেনের কাজগুলো হয়নি। তার কারণ হিসেবে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অফিসের মধ্যে সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে কর্মীদের বসার ব্যবস্থা এখনও করে ওঠা যায়নি। তা ২,৩ দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। তারপর সমস্ত কাজ আগের মতোই চালু হতে পারবে। তার আগে পর্যন্ত লকডাউনের সময়ে যেভাবে কাজ চলছিল, প্রত্যক্ষ লেনদেন ছাড়া, সেভাবেই কাজ চলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.