Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফিরহাদ হাকিম

করোনা পরীক্ষায় ‘ডোর স্টেপ’ সিদ্ধান্ত, পাড়ায় পাড়ায় মোবাইল ল্যাব পাঠাচ্ছে পুরসভা

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

KMC arranges mobile lab test to recognise corona patient, says Firhad Hakim
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 9, 2020 9:14 am
  • Updated:May 9, 2020 9:14 am  

কৃষ্ণকুমার দাস: কনটেন্টমেন্ট জোনের হটস্পটে শিবির চালুর পর পাড়ায় পাড়ায় ‘মোবাইল ল্যাব’ পাঠিয়ে করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজনের লালারস সংগ্রহ করবে কলকাতা পুরসভা। ছয়টি এমন বিশেষ চলমান ল্যাব তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের সঙ্গে পল্লিতে গিয়ে যাঁরা লালারস সংগ্রহ করবেন পুরসভার সেই টেকনিশিয়ানদের ইতিমধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পরীক্ষা প্রক্রিয়াটিকে একেবারে ‘ডোর স্টেপ’ নিয়ে যাওয়ার কথা শুক্রবার জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

তাঁর কথায়,“আগেই প্রচারের পর নির্দিষ্ট দিনে মোবাইল ল্যাবটি পাড়ায় গিয়ে থামবে। পুরস্বাস্থ্য দপ্তরের তালিকাভুক্তরা নিখরচায় লালারস দিয়ে যাবেন। পরীক্ষা হবে পিজিতে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাড়ায় পুরসভা পৌঁছে দেবে। অসুস্থের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে পুরসভা। টার্গেট একটাই, যত বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা, তত শনাক্ত হলে ব্যবস্থা।” বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের জেরে যাঁরা সন্দেহভাজন হিসাবে তালিকায় ঠাঁই পাবেন তাঁরাই প্রথমে লালারস দিতে পারবেন। শিবির ও মোবাইল ল্যাব মিলিয়ে পুরসভা কলকাতায় আপাতত দৈনিক ৫০০ জনের পরীক্ষা করবে বলে পুরমন্ত্রী জানান। স্বাস্থ্যভবন শুক্রবারও কলকাতায় আরও ৬৬ জন নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্ত তথ্য পুরসভাকে জানানো হয়েছে। টানা ছয় সপ্তাহে শহরে আক্রান্তর ‘মেডিক্যাল হিস্ট্রি’ বিশ্লেষণ করে পুরমন্ত্রী এদিন ভাইরাসের উৎস ও সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ জানিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সমস্ত দলের কাউন্সিলরই কলকাতার কো-অর্ডিনেটর, রাজধর্ম পালনে সিদ্ধান্ত ফিরহাদের]

ফিরহাদের কথায়, “বেলগাছিয়া, রাজাবাজার এলাকায় প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ওলা ও উবের চালকদের হাত ধরে। এরা বিমানবন্দর থেকে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের গাড়িতে নিয়ে শহরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দিয়েছেন। সেই বিদেশিদের শরীর থেকে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন চালকরা। তাঁরাই বেলগাছিয়া ও রাজাবাজারের মতো ঘিঞ্জি বস্তিতে ছড়িয়েছেন। ওই দুই এলাকায় সংক্রমণ পুরসভা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু এখন বড়বাজার ও পোস্তায় প্রতিদিন নতুন রোগীর সন্ধান মিলছে। ভিন রাজ্যের লরির চালক ও খালাসিরাই এই ভাইরাস নিয়ে আসছেন। চালকরা অনেকেই উপসর্গহীন হওয়ায় কুলি, মজুর ও ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারছেন না। তাই শহরের ওই এলাকায় এখন প্রচুর নতুন করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে।” তাই ভিন রাজ্যের লরি আটকাতে শহরের বাইরে মাল খালাসের সেন্টার সরানোর ইঙ্গিত মিলেছে।

[আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে খাসির বদলে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ! শুরু তদন্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement