সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংগীত শিল্পী কেকে’র (Singer KK) মৃত্যুতেও লাগল রাজনীতির রং। হৃদরোগেই যে মৃত্যু হয়েছে কেকে’র, তা মানতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, ‘পরিকল্পনামাফিক খুন’ হয়েছেন কেকে। যদিও বিজেপি নেতার দাবি খারিজ করেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কেকে’র মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। কার্যত বিস্ফোরক দাবি করে বসেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, “কলেজ নয়, এটা আসলে তৃণমূলের আয়োজিত অনুষ্ঠান। চক্রান্ত করে কেকে’কে মেরে ফেলা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কেকে। তৃণমূল নেতারা তাঁকে গান গাইতে বাধ্য করান। সত্য ধামাচাপা দিতেই গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
যদিও দিলীপ ঘোষের মন্তব্য মানতে নারাজ তৃণমূল। বিজেপি নেতার দাবি খারিজ করে সৌগত রায় জানান, “কলেজ ফেস্টের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কেকে‘র মৃত্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ মিথ্যা কথা বলছেন।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও কেকে’র মৃত্যুকে ‘পরিকল্পনামাফিক খুন’ বলে মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, “দিলীপ ঘোষ এমন কথা বলেন যার অর্থ নেই। কীভাবে কেকে’র মৃত্যু হল তা তদন্তসাপেক্ষ। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। তবে তৃণমূলের অনুষ্ঠানেই যে এসেছিলন কেকে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। লাভের আশায় কেউ নজরুল মঞ্চে আসনের বেশি দর্শক ঢুকিয়েছিলেন কিনা, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কলকাতায় কেকে’র মৃত্যু বাংলার উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বাংলায় শিল্প আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার কি শিল্পী আসাও বন্ধ হবে?”
উল্লেখ্য, গুরুদাস কলেজ ফেস্টে ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার রাতে শেষবার অনুষ্ঠান করেন কেকে। ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন সংগীতশিল্পী। গরম লাগছে বলে জানান। প্রচণ্ড ঘামতে থাকেন। জোরাল আলো নিভিয়ে দিতে বলেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে পৌঁছন কেকে। লিফটে ওঠার সময় অসুস্থতা আরও বাড়তে থাকে। তা সত্ত্বেও লিফটে ওঠার সময় বেশ কয়েকজন অনুরাগীর সঙ্গে সেলফি তোলেন। তারপর হোটেলে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়েই পড়ে যান। সেই সময় টেবিলে ধাক্কা লেগে সামান্য চোট পান কেকে। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলাও রুজু হয়। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্ব খারিজ করেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঁদিকের ধমনীতে থাকা ৭০ শতাংশ ব্লকেজের ফলে মৃত্যু কেকে’র। অতিরিক্ত উত্তেজনায় সেই ব্লকেজ বেড়ে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় রক্ত চলাচল। পরিণতি, কার্ডিয়াক অ্যাটাক এবং কেকে’র অকাল প্রয়াণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.