সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিডনি প্রতিস্থাপনেও বাঁচল না প্রাণ। মারা গেলেন মৌমিতা চক্রবর্তী। শনিবার শিলিগুড়ির ‘ব্রেন ডেড’ তরুণী মল্লিকা মজুমদারের কিডনি বসানো হয় মৌমিতার দেহে। অপারেশনের পর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সেখানেই রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না মৌমিতা। অস্ত্রোপচারের পর জটিলতা তৈরি হয়। মৌমিতার শরীর মল্লিকার কিডনিটিকে গ্রহণ করতে চাইছিল না। ফলে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। খড়দহের ওই তরুণীর মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার। চিকিৎসকরা জানান, তাঁদের দিক থেকে চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। তবে অনেক সময়ই পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকে না। এদিকে মল্লিকার আরও একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সোদপুরের এক যুবকের দেহে। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে কানের সংক্রমণে ভুগছিল শিলিগুড়ির মল্লিকা। ৩১ জুলাই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয় দশম শ্রেণির কিশোরীকে। চিকিৎসায় তেমনভাবে সাড়া দিচ্ছিল না সে। গত ১৩ আগস্ট থেকেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে কিশোরীর। মল্লিকার পরিবারকে বোঝাতে শুরু করেন রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। শুক্রবার বিকেলে সরকারিভাবে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয় বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে।
মল্লিকার ত্বক দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম-এর স্কিন ব্যাংকে। চোখ দেওয়া হয়েছে শহরের খ্যাতনামা এক বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে। লিভারের গ্রহীতা পাওয়া যায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। মল্লিকার দু’টি কিডনি দেওয়া হয় এসএসকেএম-এর নেফ্রোলজি বিভাগে। পরে তা প্রতিস্থাপিত হয় খড়দহ ও সোদপুরের দুই গ্রহীতার শরীরে। শহরে গ্রহীতা না পাওয়া যাওয়ায় হার্ট প্রতিস্থাপন করা যায়নি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, দিল্লির এইমসে গ্রহীতা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বিমানের সময় অত্যন্ত দেরিতে হওয়ায় হার্ট পৌঁছানো যায়নি।
[মঙ্গলবার রাজ্যে আসছে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.