নিরুফা খাতুন: মাত্র দু’মাস বয়স। মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে এসেছিল চোরাশিকারিরা। বনদপ্তর তাদের উদ্ধার করে আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoological Garden) পাঠায়। তারপর থেকে ভল্লকু শাবকদের অভিভাবক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেখানকার কর্মীদের কোলে বেড়ে উঠছে তারা।
গত মার্চ মাসে বাংলাদেশে পাচারের সময় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ থেকে দুটি শ্লথ প্রজাতির ভল্লুকের (Bear) শাবক ধরা পড়েছিল। দুটি শাবকই পুরুষ। তখন তাদের বয়স ছিল মাত্র দু’মাস। দু’জনের মধ্যে এক জনের ওজন ছিল ২ কেজি। আর একজন ছিল আড়াই কেজির মতো। যখন তাদের চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছিল তখন নিজের পায়ে ঠিকমতো হাঁটতে পারত না।
দুধ ছাড়া কিছুই খেত না। মা ছাড়া এত ছোট শাবকদের লালান পালন করা মুখের কথা নয়। এখন আর আগের মতো শান্তও নেই। যত বড় হচ্ছে তাদের দুষ্টুমি বাড়ছে। কখনও নিজেদের মধ্যে মারপিট করছে। ঘর লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। কখনও কর্মীদের দেখে লুকোচুরি খেলছে। কখনও আবার তাদের দিকে তেড়ে আসছে। ভল্লুক শাবকদের দৌরাত্ম্যে কার্যত অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধির্কতা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, “ভল্লুকের শাবক দু’টি সুস্থ আছে। এখন তো খুব দুষ্ট হয়ে উঠেছে। দিনরাত ঘরে দুষ্টুমি করে বেড়ায়। কর্মীদের নাজেহাল করে ছাড়ছে।’’ চিড়িয়াখানায় আসার পর শাবক দু’টির ওজনও অনেকটা বেড়েছে। এখন একজনের ওজন প্রায় ৬ কেজি। আর একজনের ওজন ৪ কেজি ৭০০ মতো। খাওয়াদাওয়া বেশ ভালই করছে। কর্মীদের হাতে করে খাইয়ে দিতে হচ্ছে না।
স্যারাল্যাক্সের সঙ্গে এখন গোবিন্দভোগ চালের ভাত দুধ, কলা মেখে দেওয়া হচ্ছে। দিব্যি চেটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে। চিড়িয়াখানায় আগে থেকে একটি শ্লথ ভল্লুক রয়েছে। দু’টি শাবক আসার পর সংখ্যা বেড়ে তিনটি হয়েছে। তবে শাবকদের দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হয়নি। চিড়িয়াখানায় আলাদা ঘরে তাদের রাখা হয়েছে। অধির্কতা জানান, ওরা বড্ড ছোট। আর একটু বড় হোক, তারপর দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.