Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

‘খেলা হবে’ থেকে শুরু করে ‘দুয়ারে সরকার’, বইমেলায় মিলছে মুখ্যমন্ত্রীর ১২টি বই

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের 'খেলা হবে' স্লোগান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল।

'Khela Hobe', 'Duare Sarkar' and 12 other books of Mamata Banerjee available in Kolkata Book Fire | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 1, 2022 1:39 pm
  • Updated:March 1, 2022 1:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের (Covid) কারণে গত বছর কলকাতা বইমেলা হয়নি। সোমবার সল্টলেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার (Kolkata Book Faire) উদ্বোধন করছেন বাইরে তখন থিকথিকে ভিড়। এবারও দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। শেষ হবে ১৩ মার্চ।এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণেই এবার থেকে বইমেলা হবে। ‘খেলা হবে’ ও ‘দুয়ারে সরকার’-এর ইংরেজি অনুবাদ-সহ নিজের বারোটি বই উদ্বোধন করলেন মমতা। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। 

আইনি জটিলতায় ২০০৮ সালেও বইমেলা হয়নি। পরের বছর কলকাতা ময়দান থেকে সরিয়ে কখনও বইমেলা হয়েছে সায়েন্স সিটির মিলনমেলায়, কখনও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মার্চ-এপ্রিলে মিলনমেলার কাজ শেষ হবে। সেখানে রাজনৈতিক মিটিং মিছিলও হবে। সেন্ট্রালপার্কের মেলা প্রাঙ্গণটিকে এদিন ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’ হিসাবে ঘোষণা করেন তিনি। বিকেল তিনটে নাগাদ বইমেলায় এসে প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’ স্টল উদ্বোধন করেন মমতা। কথা বলেন স্টলের কর্মীদের সঙ্গে। বেশ কয়েকটি কাগজের সংখ‌্যা উল্টেপাল্টে দেখেন। নেড়েচেড়ে দেখেন বেশ কিছু বইও। মুখ‌্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মালা রায়, সব‌্যসাচী দত্ত, শান্তনু সেন, দোলা সেন, ইন্দ্রনীল সেন, হুমায়ুন কবীর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কুণাল ঘোষ প্রমুখ। বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে তার পর মুখ‌্যমন্ত্রী যান পুলিশের স্টলে। ঘুরে দেখেন আরও কয়েকটি বইয়ের স্টল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বসন্তেই টের পাওয়া যাচ্ছে গরম, আগামী কয়েকটা দিন কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?]

বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে উঠে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী কথাসাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। কুশল বিনিময়ের পর নিজের হাতে তাঁকে চা এগিয়ে দেন। তাঁকে ‘সৃষ্টি সম্মান’ পুরস্কার প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সবার প্রেরণা। এই মাপের মানুষ আর আসবে কি না জানি না।” সঞ্জীববাবু বলেন, “দিদি শব্দটার মধ্যে যে মাধুর্য ও ভাব আছে পৃথিবীর কোনও দেশে কোনও জাতি সেই ভাব পায়নি। সমস্ত কথা যেখানে শেষ হয় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মধ্যে আমি চরম আধ্যাত্মিক প্রকাশ লক্ষ্য করেছি।”

বইমেলার এবারের থিম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে উদ্যোক্তা গিল্ড। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হলেও আমরা আলাদা করতে পারি না। দুই বাংলার সম্পর্কের সীমানা দড়ি দিয়ে বাঁধা যায় না। এপারে কবিগুরুর ‘জনগণমন’ গাই। ওপারে ওঁরা গান ‘আমার সোনার বাংলা’।” বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি কাঁটাতারের বেড়া আটকে রাখতে পারে না বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমাদের বহু ঐতিহ্য বাংলাদেশে আছে। বাংলাদেশের অনেক ঐতিহ্য এপারে আছে। আমরা একে অপরের সাথী। বইমেলাকে আমি বলি ‘বইবেলা’। এখানে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য খুঁজে পাওয়া যায়।” বাংলাদেশের মন্ত্রী তথা সাংসদ কে এম খালিদ, ঢাকা বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন-সহ রাজ্যের বহু বিশিষ্ট মঞ্চে ছিলেন। প্রয়াত বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শারীরিক মঙ্গল কামনা করে মমতা বলেন, “আপনাদের স্লোগান জয় বাংলা। জয়হিন্দের সঙ্গে আমাদের স্লোগানও জয় বাংলা। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস যেমন বাংলাদেশে পালিত হয়, আমরাও তা গুরুত্ব দিয়ে পালন করি।”

[আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বিশ্বভারতী, হস্টেল খোলার দাবিতে রাতভর ঘেরাও কর্মসচিব

এবারের বইমেলায় প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়-সহ বহু বিশিষ্ট মানুষকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে উদ্যোক্তা গিল্ড। বইমেলার জন্য স্থায়ী ঠিকানা দেওয়ায় সংগঠনের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে ও সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেনেভার প্রকাশকদের সংগঠন কলকাতা বইমেলাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এদিনই রাজ্য পুলিশের স্টলে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন বাস্তবের তদন্তের বহুবিধ প্রামাণ্য ছবি ও নথি সম্বলি‌ত ‘গোয়েন্দাপীঠ সমগ্র’। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন আমলা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই প্রকাশিত ‘গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার’-এর তিনটি খণ্ডের সঙ্গে অপ্রকাশিত চারটি রহস্যঘন কাহিনি যোগ করে প্রকাশিত হল ‘গোয়েন্দপীঠ সমগ্র’।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement