অর্ণব আইচ: কসবার (Kasba) কাউন্সিলরকে গুলি কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অগ্রিম মাত্র আড়াই হাজারের সুপারিতে সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক কষেছিল আততায়ীরা। বৃহস্পতিবার রাতেই হাজির হয়েছিল কলকাতায়। কীভাবে চলবে অপারেশন, নীল নকশা হয়েছিল কলকাতায়। প্রকাশ্যে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য।
শুক্রবার রাতে কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে আততায়ীরা। তবে বন্দুক জ্য়াম হয়ে যাওয়ায় বরাতজোড়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। এদিকে কাউন্সিলরের শাগরেদরা ধরে ফেলেন এক অভিযুক্তকে। তাকে জেরা করেই আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরপিতাকে খতম করার নীল নকশা কার ছিল? কোথায় লুকিয়ে ছিল হামলাকারীরা? জানা গিয়েছে, ১০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলর খুনে। অগ্রিম দেওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে বিহার থেকে হাওড়া আসে যুবরাজ সিং, ইকবাল-সহ তিন সুপারি কিলার। তাদের জন্য হাওড়া স্টেশনের বাইরে অপেক্ষায় ছিল ট্যাক্সিচালক আহমেদ। সে-ই ট্যাক্সিতে তাদের নিয়ে যায় বন্দর এলাকার গোপন ডেরায়। রাতে সেখানে বসেই হয় ছক।
সূত্রের খবর, পরিকল্পনা ছিল, প্রথমে বাইকে দুজন যাবে। তারা পিস্তল নিয়ে সুশান্ত ঘোষকে ভয় দেখাবে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেই সময় সুযোগ বুঝে আসল শুটার গুলি চালিয়ে মিশে যাবে ভিড়ে। কিন্তু ঘটনাচক্রে তা হয়নি। ভয় দেখাতে গিয়েই ধরা পড়ে যায় যুবরাজ। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। নাবালক পরিচয়ে শাস্তি কমানোর চেষ্টা করে সে। কিন্তু আধার কার্ড বলছে যুবরাজ সাবালক। এদিকে ট্যাক্সিচালক আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। কে সুপারি দিয়েছিল? কারণই বা কি? তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। তবে মনে করা হচ্ছে, দুটি কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত, রাজনৈতিক শত্রুতা। দ্বিতীয়ত, সিন্ডিকেট রাজ। কারণ, টাকার বিনিময়ে এলাকায় অবৈধ নির্মাণে রাজি ছিলেন না সুশান্ত ঘোষ। ফলত তার জেরে এই ঘটনা কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.