দীপঙ্কর মণ্ডল: জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অসহযোগিতার ডাক দিয়ে রানি রাসমনি রোডে এনআরসি বিরোধী যুক্তমঞ্চ। আর এই মঞ্চ থেকেই সিপিএম আরও একবার জানিয়ে দিল, এই রাজ্যে এনআরসি চালুর উদ্যোগ হলে সিপিএমও যৌথ আন্দোলনে সামিল হবে। রানি রাসমনি রোডে সোমবার এনআরসি বিরোধী যুক্তমঞ্চের সমাবেশে হাজির ছিলেন কানহাইয়া কুমার, পদত্যাগী তরুণ আইএএস কারনান গোপিনাথন থেকে সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণণ, ইমতিয়াজ আহমেদ মোল্লা, বিধায়ক আলি ইমরান রামজ(ভিক্টর)-সহ একাধিক বিশিষ্টজন।
কানহাইয়া কুমার বা গোপিনাথনের মতো বক্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ১৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে সম্প্রীতি দিবস পালন করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রের এনআরসি-র বিরদ্ধে পূর্ণ অসহযোগিতা করা হবে। কানহাইয়া কুমার বলেন, ”এনআরসি’র জন্য তথ্য চাইতে বাড়িতে কেউ এলে তাঁকে কোনও তথ্য দেবেন না। জানিয়ে দিন, আপনি স্বাধীন দেশের নাগরিক। নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণের দায় কেন্দ্রের। তাই কেন্দ্রকেই প্রমাণ করতে হবে, কারা নাগরিক আর কারা নাগরিক নন।” কটাক্ষ করে কানহাইয়া আরও বলেন, ”আসলে এনআরসি, এনপিআর বা ক্যাব যে নামেই বলা হোক না কেন, মূল উদ্দেশ্য বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করা।” পদত্যাগী তরুণ আইএএস কারনান গোপিনাথন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেশের নাগরিকদের এনআরসির মাধ্যমে প্রথমে ‘আচ্ছে দিন’ অর্থাৎ বছরে দু’ লাখ চাকরির মতো প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। তারপর এই ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।
প্রায় একই সুরে আলিমুদ্দিনে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “২০১৬ সাল থেকে সিপিএম এনআরসি’র বিরোধিতা করে আসছে। তাই এই ইস্যুতে যে কোনও সংগঠনের সঙ্গে রাজ্যে এনআরসি বিরোধী মঞ্চ করে আন্দোলন করতে তৈরি রাজ্য সিপিএম।” আজই লোকসভায় পেশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, যা নাগরিকপঞ্জি নবায়নের রাস্তা সুগম করার অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ
মহল। আর এই একই দিনে কলকাতার রাস্তায় এনআরসি বিরোধী মঞ্চে বামপন্থী নেতৃত্বের এই জোটবদ্ধ অবস্থান, প্রতিবাদী সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.