বিধান নস্কর, দমদম: কামদুনি কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ। সুবিচারের দাবিতে এবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালরা। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা-সহ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের উড়ানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁদের। মৌসুমীর দাবি, বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করবেন তাঁরা। এছাড়া আইনি সহযোগিতায় প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁদের। তারপর পরবর্তী রণকৌশল স্থির হবে। মৌসুমীর দাবি, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ফাঁসি রদের রায়ের পর বিচারব্যবস্থার উপর থেকেই যেন আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে হয়তো সুবিচার পাওয়া যাবে, ক্ষীণ আশা নিয়েই দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন কামদুনি (Kamduni Case) কাণ্ডের আরেক প্রতিবাদী মুখ টুম্পা। তাঁর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় বড় আইনজীবীর রাজ্য সরকার সাহায্য নিচ্ছে। তবে কামদুনি কাণ্ডের ক্ষেত্রে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে হালকা চালে এই মামলা লড়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার গলাতেও একই সুর। রাজ্য সরকার কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গুরুত্ব দেয়নি বলেই অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের ঢেউ যে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন মৌসুমী-টুম্পারা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.