ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কামদুনির(Kamduni Case) নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন মুখ্যমন্ত্রী, চিঠিতে আর্জি কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর। এদিকে, শনিবার বিকেলেই কামদুনি যাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নির্যাতিতার পরিবার পরিজনদের পাশে থাকার আশ্বাস রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
চিঠিতে অধীররঞ্জন চৌধুরী লেখেন, “বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে সকলের। তবে কামদুনি গণধর্ষণ এবং খুন কাণ্ডের আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। একজন সাংসদ হিসাবে এই ঘটনার রায় নিয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা আমার উচিত নয়। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। তবে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ফাঁসির সাজা রদ করেছে। রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি আধিকারিকরা এই নৃশংস ঘটনা সম্পর্কে সঠিকভাবে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। সে কারণেই ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। তবে এটা দোষারোপ করার সময় নয়। নির্যাতিতার পরিবারের চোখের জল মুছিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার সময়। কারণ, আমরা সকলেই জানি সন্তানকে হারানোর যন্ত্রণা ঠিক কেমন। দয়া করে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়ান।”
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা রদের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষী আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বেকসুর খালাস আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলাম। দোষীরা বেকসুর খালাস হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাজ্য সরকার না করলে ‘প্রাইভেট এজেন্সি’র মাধ্যমে সে ব্যবস্থা করা হবে বলেই আশ্বাস শুভেন্দু অধিকারীর। এদিকে, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৌসুমী-টুম্পারা। শনিবার বিকেলে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন তাঁরা। তাতে অংশ নিতে পারেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.