গোবিন্দ রায়: তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ দলীয় সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করা এবং হেনস্তার অভিযোগে বেহালার (পূর্ব) বিধায়ক রত্নাদেবীর বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে। উল্লেখ্য, রত্মার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কলকাতা হাই কোর্টে সওয়াল করছেন কল্যাণ।
সোমবার আদালতের উল্লেখপর্বে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “গত শুক্রবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছি। তারপর থেকে তিনি প্রেস কনফারেন্স করে আমার নামে অসম্মানজনক মন্তব্য করছেন।” বিচারপতির প্রশ্ন, “কিন্তু এর জন্য এই কোর্ট কি করতে পারে?” বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণের জবাব, “আমি একজন সিনিয়র আইনজীবী। এতদিনের কর্মজীবনে এই ঘটনা আগে ঘটেনি। আমাকে আদালতের সুরক্ষা দেওয়া উচিত। আলিপুর আদালতেও ঠিক এই জিনিস করা হয়েছে। আমার মেয়ের নামেও কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে।” এরপরই তাঁকে আবেদন করতে বলেন বিচারপতি। আশ্বাস দেন, আদালত শুনবে।
এদিন আদালতে রত্নার পক্ষে একজন জুনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, কোনও অসম্মানজনক মন্তব্য করা হয়েছে বলে তাঁদের কাছে তথ্য নেই। পালটা কল্যাণের আক্রমণ, “আমি দ্বিচারিতা করছি বলেছেন! এগুলো কী ধরনের আচরণ? কেউ ওঁর বিরুদ্ধে সওয়াল করতে পারবে না? কেউ সাক্ষ্য দিতে পারবেন না?” তাঁর আরও সংযোজন, “৪৩ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছি। আমি অনেক থ্রেট সহ্য করেছি। কিন্তু এই রকম অসম্মানজনক কথা শুনিনি।” কল্যাণের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের ফোনে অশালীন ভাষায় মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার শোভন ও রত্নার বিবাহ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে। সেখানেই বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ‘প্রভাবশালী’ বলে কাঠগড়ায় তোলেন কল্যাণ। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে পালটা কল্যাণকে নিশানা করেছিলেন রত্না। এবার তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ কল্যাণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.