Advertisement
Advertisement

Breaking News

Abhijit Gangully

আপনি কিন্তু ‘প্রাক্তন বিচারপতি’, আইন ভাঙা অভিজিৎকে মনে করালেন কল্যাণ-কুণাল

'বিচারপতি হিসেবে বেয়াদপি সহ্য করলেও, সাংসদ অভিজিতের অসভ্যতা মানুষ সহ্য করবে না', তোপ তৃণমূলের।

Kalyan Banerjee and Kunal Ghosh attacked Abhijit Gangully for breaking the law
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 4, 2025 10:50 pm
  • Updated:January 4, 2025 10:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘উনি যে ‘প্রাক্তন’ বিচারপতি, সেটা ভুলে গিয়েছেন। বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিতের বেয়াদপি সহ্য করলেও, সাংসদ হিসেবে তাঁর অসভ্যতা মানুষ সহ্য করবে না।’ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আইন ভাঙার ঘটনায় এভাবেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি অভিজিৎকে আইন স্মরণ করিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ, কোনও সাংসদই গাড়িতে লাল-নীল আলো লাগাতে পারেন না।

দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে শুক্রবার মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায়ের বচসার ভিডিও ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। ওইদিন রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি স্কুটারে ধাক্কা লাগারও উপক্রম হয়। সেখান দিয়েই যাচ্ছিলেন বাবুল। সাংসদের গাড়ির বেলাগাম গতির তীব্র প্রতিবাদ করেন বাবুল। অভিযোগ, বাবুলের আপত্তি শুনেই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। উৎসাহী মানুষের ভিড়ও জমে যায়। মন্ত্রী ও সাংসদের নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন ঘটনাস্থলে। বাবুল বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায় ক্ষমা না চাইলে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। পাল্টা অভিজিৎ তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশকর্মীদের বলতে থাকেন, “বাবুলকে এখনই গ্রেপ্তার করো।” বাবুলও বলে দেন, “এভাবে কখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। আর উনি কোন এক্তিয়ারে এই কথা বলছেন? উনি তো বিচারপতি নন এখন। উত্তেজনা একটা সময় চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বাধ‌্য হয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে রণে ভঙ্গ দেন অভিজিৎ।

Advertisement

সেই ঘটনাতেই এদিন অভিজিতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল‌্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আইন ভেঙেছেন বিজেপি সাংসদ! গাড়িতে এ-ধরনের লাল-নীল আলো লাগাতে পারেন না কোনও সাংসদ। এমনকী, সাংসদের গাড়িতে লাল আলো লাগানোই যায় না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। সাংসদের গাড়িতে হুটার বাজানোরও নিয়ম নেই। শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতেই হুটার থাকার নিয়ম রয়েছে।” তাঁর কথায়, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কী ধরনের অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন, তা নিয়ে আমার সম্যক ধারণা আছে। একাধিকবার সংসদে সেই নমুনা দেখেছি। যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন এজলাসে বসেও রাজনৈতিক নেতার মতো মন্তব্য করতেন অভিজিৎ। তাঁর কুকথায় অতিষ্ঠ ও অসন্তুষ্ট হন বর্ষীয়ান আইনজীবীরাও।”

কল্যাণের পাশাপাশি সরব হয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাফ বলে দেন, “বিজেপি সাংসদ যে-ভাষায় কথা বলেছেন তা কোনওমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনে রাখা উচিত, তিনি এখন প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর এই অকথা-কুকথা সবাই হজম করবে না।” এদিকে এই বচসা ‘পরিবেশ নষ্ট করেছে’ বলে অভিযোগ তুলে শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানালেন হাওড়ার এক সমাজকর্মী। সাঁকরাইলের দুইল্যার বাসিন্দা প্রতাপ বসু নামে ওই সমাজকর্মী দুই কমিশনারের কাছে স্পিড পোস্টে ও ই-মেল করে অভিযোগ জানান। প্রতাপ জানান, পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে না দেখলে তিনি প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলা করবেন।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement