গোবিন্দ রায়: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ করে খুনে’র অভিযোগ মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে রাজ্যকে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা বিস্তারিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে। পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্ত ও পরিবারকে নিরাপত্তার দেওয়ার দাবি কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই শুনানি এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কিশোরীর দেহে বিষক্রিয়া হয়েছে, কিন্তু ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কিশোর নিখোঁজ হয়েছিল সে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেহ নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় পুলিশের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য। ৪ পুলিশ কর্মীকে যে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাও আদালতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হোক। রোজ হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাই পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে পরিবার।
এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। তলব করেন রাজ্যের রিপোর্ট। বিচারপতির আরও নির্দেশ, FIR,ময়নাতদন্ত এবং সুরতহালের রিপোর্ট পরিবারকে দিতে হবে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন চাইলে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে নথি চাইতে পারেন এবং প্রশাসনকে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। এরপরই বিচারপতির মান্থার মন্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ধর্ষনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। দেহে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে
এদিকে, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে এসটি কমিশনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইজি, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনাকে শুক্রবার দিল্লির লোকনায়ক ভবন অর্থাৎ কমিশনের অফিসে ১১টায় দেখা করতে বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.