স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশের অতিরিক্ত সতর্কতাই জব্দ করল শব্দকে৷ শনিবার কালীপুজো ও রবিবার দীপাবলির রাতে আলোর রোশনাই দেখল কলকাতা৷ কিন্তু সেই অর্থে ফাটল না শব্দবাজি৷ তাই আলোর উৎসবেই মাতলেন কলকাতাবাসী৷ রাতের দিকে শহরের কিছু এলাকার বাসিন্দা শব্দবাজি ফাটানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ৷ কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(৩) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ৩২৮ জনকে৷ এ ছাড়াও কালীপুজোর রাতে গোলমাল ও অভব্যতা করার অভিযোগে ৩৮৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ রবিবার দেওয়ালির রাতে বাড়তি সতর্ক ছিল পুলিশ৷ তার ফলে এদিনও শহর ছিল অনেকটাই শব্দহীন৷
শহরকে শব্দদানবের হাত থেকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা নেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷ পরিবেশমন্ত্রী ও দমকলমন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজেই কন্ট্রোলরুমে বসে মনিটরিং করেন৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও পুলিশকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন৷ পুলিশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷ পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের থেকেও এই বছরে বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সেই কারণে এই বছর কলকাতা ছিল অনেকটাই শব্দহীন৷ রবিবার রাত পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ২৮৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজি, গ্রেফতার ৪১৭ জন৷ অভব্য আচরণের জন্য আটক ৩৮৩৷
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার একটু বেশি রাত থেকে শহরের কিছু জায়গায় শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ আসে৷ যদিও গতবারের থেকে এই অভিযোগের সংখ্যা অনেকটাই কম৷ যেখান থেকেই অভিযোগ এসেছে, সেখানেই ছুটে গিয়েছে পুলিশ৷ দক্ষিণ শহরতলির কিছু জায়গা থেকেই বেশি সংখ্যার অভিযোগ আসে৷ সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে পুলিশ৷ কোনও অপরিসর রাস্তায় বাজি ফাটলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের অটো-বাহিনী৷ অটোয় করে পুলিশ গিয়ে ধরে ফেলেছে নিষিদ্ধ বাজি৷ কয়েকটি বহুতলের আবাসনেও চলেছে তল্লাশি৷ কিন্তু শব্দবাজির ক্ষেত্রে পুলিশ কাউকেই রেয়াত করেনি৷ তাই মধ্য কলকাতা বা দক্ষিণ কলকাতার যে এলাকা থেকে আগে শব্দবাজির আওয়াজ ভেসে আসত, সেখানে ছিল শুধু আলোর রোশনাই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.