রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নিজে ভজন শিল্পী। ভক্তি অন্ত প্রাণ। কিন্তু তাঁর সেই শিল্পীসত্তার ছবি রাজনীতির ময়দানে সচরাচর দেখা যায় না। বৃহস্পতিবার শহিদ মিনারের ময়দান সাক্ষী থাকল কৈলাস বিজয়বর্গীর সেই শিল্পীসত্তার। কীর্তনীয়াদের সঙ্গে কাঁধে খোল নিয়ে গলা ছেড়ে গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন বাংলার কয়েক হাজার কীর্তনীয়াও।
বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে জড়ো হয়েছিলেন কীর্তন, বাউল ও ভক্তিগীতি শিল্পীরা। এই সমাবেশের আয়োজন করেছিল সারা ভারত কীর্তন, বাউল ও ভক্তিগীতি কল্যাণ ট্রাস্ট বা শিল্পী সংসদ। এদিন জয়নগরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সভায় যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। কিন্তু ‘শিল্পী’ কৈলাস এদিন সোজা চলে আসেন শহিদ মিনারে শিল্পী সংসদের সভায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। সভাস্থলে হরে রাম হরে কৃষ্ণ বোল তুলে হাতে খোল নিয়ে কীর্তন গাইলেন তিনি।
বিজেপির রথযাত্রার পালটা তৃণমূল পবিত্র যাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য জেলার কীর্তনীয়াদের হাতে খোল-করতাল তুলে দিয়েছিলেন। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের খোল-করতাল নিয়ে পালটা কীর্তন গান সেই প্রেক্ষিতে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। পাশাপাশি শিল্পী সংসদের সভায় বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের কীর্তন শিল্পীদের মধ্যে দলের প্রভাব বিস্তারের কৌশলও বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন কৈলাস ঘোষণা করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করে কীর্তনীয়াদের ৬০ বছর বয়সের পর ভাতা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই লোকশিল্পীদের প্রসারে বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রাশিল্পীদের জন্যেও ব্যবস্থা করা হয়েছে ভাতা। এবার, ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বিজেপিও মমতার পথেই হাঁটতে চাইছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.