Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kailash Vijayvargiya

নাড্ডার নির্দেশ, ভোটের ফলপ্রকাশের আড়াই মাস পর বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচিতে কৈলাস

কৈলাসের অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক গুঞ্জন।

Kailash Vijayvargiya holds crucial meeting with West Bengal BJP leaders after 2.5 months | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 23, 2021 8:56 pm
  • Updated:October 17, 2023 8:31 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের আড়াই মাস পর এই প্রথম বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকে দলের কোনও বৈঠকে দেখা যায়নি তাঁকে। এরপর মুকুল রায় বিজেপি ছাড়ার পর কৈলাসের বিরুদ্ধে দলের একাংশের ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক গুঞ্জন।

তবে সব জল্পনা উড়িয়ে শুক্রবার রাজ্য বিজেপির পদাধিকারীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয়। ভারচুয়ালি এই বৈঠকে কৈলাস ছাড়াও রাজ্যের দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ও অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীরা ছিলেন। হঠাৎ করে এই জরুরি বৈঠকের কারণ কী? দলীয় সূত্রে খবর, সর্বভারতীয়স্তরে যে কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে তা বাংলায় সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এ বিষয়টি নিয়ে নজর দেওয়ার জন্য বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকদের নির্দেশ দেন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কড়া বার্তার পরই তড়িঘড়ি এই বৈঠক ডাকেন বিজয়বর্গীয়। বৈঠকে বিজয়বর্গীয় নির্দেশ দেন, ভোটের পর সংগঠনের কাজে ঢিলেমি দিলে চলবে না। বুথে বুথে কর্মীদের কর্মসূচি নিতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গাড়িতে লাল বা নীল বাতির ব্যবহারে নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের, যোগ্য শুধুমাত্র ১৪ পদাধিকারী]

গুরুপূর্নিমার দিনও বিশেষ কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বঙ্গ BJP-কে। শনিবার, গুরুপূর্নিমায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক ও শিক্ষকদের সম্মান জানাবে বঙ্গ বিজেপি। মালব্যর নির্দেশ, এই সম্মান জানানোর ছবি সকলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ করে দিতে হবে। এছাড়া, সম্প্রতি বাংলা থেকে মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন এ রাজ্যের চার সাংসদ জন বার্লা, নিশীথ প্রামানিক, ডাঃ সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর। এই চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাজ্যে এসে বিভিন্ন জেলায় যাবেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হবেন। তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মূলত জনসংযোগ আরও বাড়াতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণের কাছে দলের প্রভাব আরও বাড়াতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দিচ্ছেন এই বিষয়টিকে নিয়েও রাজ্যজুড়ে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, রাজ্যে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার দাবি তুলে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার-প্ল্যাকার্ড লাগানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement