রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: “জয় শ্রীরাম স্লোগান অন্তরে আছে। তবে জয় হিন্দ বা জয় বঙ্গ স্লোগানেও আমাদের আপত্তি নেই।” মঙ্গলবার এই মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই মন্তব্যের পরেই মঞ্চ থেকে জয় হিন্দ, জয় বঙ্গ ও জয় মহাকালী স্লোগান তোলেন তিনি।
তারপরই ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বির্তকের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। কটাক্ষ করে কৈলাস বলেন, “বাংলাতে বিজেপি যে চমকপ্রদ ফল করেছে, তাতে দিদি কিছুটা মুশকিলে পড়েছেন। ওঁনার মানসিক সমস্যা হচ্ছে। এই হার উনি হজম করতে পারছেন না। তাই জয় শ্রীরামকে গালি ভাবছেন। কিন্তু, আমাদের জয় হিন্দ বলতে আপত্তি নেই।”
মঙ্গলবার হাজরার মহারাষ্ট্র নিবাসে রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক হয়।সেখানে রাজ্য থেকে জয়ী ১৮ জন সাংসদকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। বৈঠকে নতুন সাংসদদের আচরণ কী রকম হবে তা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “সততার সঙ্গে কাজ করুন। জনতার সেবা করে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করুন। এর জন্য আপনাদের সবাইকে বিনম্র হতে হবে।”
পশ্চিমবঙ্গ থেকে নব নির্বাচিত সাংসদরা কীভাবে চলবেন, তাঁদের আচার-আচরণ কী রকম হওয়া উচিত। তা নিয়ে কার্যত একটা গাইডলাইন দেন তিনি। এপ্রসঙ্গে নতুন সাংসদদের কৈলাস বলেন, “যদি আপনাদের কেউ ফোন করে, তাঁকে হয়তো বললেন দিল্লিতে আছি। কিন্তু, আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আপনার মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে মানুষ জেনে যাবে আপনি কোথায় আছেন। তাই কোনও অবস্থাতেই সাধারণ জনতার সঙ্গে মিথ্যাচার করবেন না। মানুষ যেন বলে তাঁরা সঠিক লোককেই জিতিয়েছেন।”
মঙ্গলবার জয়ী সাংসদদের পাশাপাশি পরাজিত প্রার্থীদেরও কিছু পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “নিজের এলাকায় গিয়ে পড়ে থাকতে। মানুষের সেবা করতে। মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলনে শামিল হতে। খামতি কোথায় ছিল সেই তালিকা তৈরি করতে হবে। আর সেই খামতি দূর করে আগামীদিনে রাজ্যের কোণায় কোণায় বিজেপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.