সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস কয়েক আগেকার ঘটনা নিয়ে এবার বিচারব্যবস্থার দ্বারস্থ সংগীতশিল্পী কবীর সুমন (Kabir Suman)। তাঁর অনুমতি ছাড়া ফোন কল রেকর্ড করায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্পাদক ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা (Defamation Case) দায়ের করলেন তিনি। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সমন জারি করেছে। আগামী নভেম্বরে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়েছেন শিল্পী।
ঘটনার সূত্রপাত ফেব্রুয়ারি মাসে। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের তরফে কবীর সুমনকে ফোন করা নিয়ে গোলমাল বাঁধে। অভিযোগ, তিনি ওই চ্যানেলের তরুণ সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়েছিলেন। সেই অডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এর দিন কয়েকের মধ্যে আবার একাধিক ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়েছিলেন কবীর সুমন। যদিও সেই পোস্টের ছত্রে ছত্রে মিশেছিল শ্লেষ। পোস্টেই সুমন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমাপ্রার্থী হলেও বিজেপির (BJP) মতো সংখ্যালঘু বিদ্বেষী দল এবং তাঁদের ‘সমর্থনকারী’ চ্যানেলকে গালাগাল করে কোনও গর্হিত অপরাধ তিনি করেননি। উলটে অনুমতি ছাড়া তাঁর অডিও প্রকাশ্যে আনা নিয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন।
এবার সেই অডিও রেকর্ডকে ‘আইনবিরুদ্ধ’ বলে মানহানির মামলা দায়ের করলেন কবীর সুমন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ”কাউকে টেলিফোন করে সেই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর কথা, তা সে স্তুতিবাক্যই হোক, প্রেমের কথাই হোক আর বাপমা-তোলা গালাগালই হোক, বিনা অনুমতিতে রেকর্ড করা আইনবিরুদ্ধ। রিপাবলিক টিভি ও তাঁদের রিপোর্টারের তা জানার কথা। তাঁরা সব জেনেশুনেই আমার কথা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন…আমার অনুমতি না নিয়ে অর্থাৎ বে-আইনিভাবে যে কলটি রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ইন্টারনেটের সর্বত্র ছড়ানো হয়, তার ভিত্তিতে একটি বিশেষ দলের প্রতিনিধি এবং আরো কেউ কেউ আমায় potential rapist বলতে থাকেন এবং আমাকে শারীরিক আক্রমণ করার ডাকও দেন। এই সব কিছুরই প্রমাণ আমার আইনজ্ঞদের কাছে আছে।” কবীর সুমনের হয়ে মামলা লড়ছেন দুই আইনজীবী শেখ ইমতিয়াজুদ্দিন এবং শৈবাল গুপ্ত।
এদিন দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছেন বাংলা সংগীত জগতের এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাতে এই বিষয়টি ছাড়া একাধিক প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রকাশ করেছেন নিজের অনুভূতির কথা। এদিন সন্ধেবেলায় কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে কবীর সুমনের আধুনিক গানের একক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানকে সম্ভাব্য শেষ অনুষ্ঠান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তারপর লিখেছেন – ”অনেকদিন পর আজ আবার দেখা হবে। কেউ কেউ কি চেষ্টা করবেন আমায় বিরক্ত করতে, উত্যক্ত করতে, হলে বিশৃংখলা ঘটাতে? কী লাভ! আমাকে ওভাবে শেষ করা যাবে না। তার চেয়ে বরং শুনুন একটা তিয়াত্তুরে বুড়ো এখনও কী করতে পারে সংগীতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.