ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে মূল অভিযুক্ত করে মঙ্গলবারই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি (ED)। তাতে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় হাত ধরেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি টাকা বাকিবুরের সাজানো ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়। বাকিবুরের সংস্থার অডিটরের সঙ্গে কথা বলে এমনই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
আদালতে পেশ করা চার্জশিটে ওই অডিটরের বয়ান উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাকিবুর তাঁর সংস্থার ৫০ জন কর্মী কৃষকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেসব অ্যাকাউন্টে ধান কেনার নামে ৪৫০.৩১ কোটি টাকা দেওয়া হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে। ইডির চার্জশিটে উল্লেখ, এই সংস্থার চেয়ারম্যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেই সরকারি টাকা দেওয়া হয়েছে।
ইডির কাছে বয়ান দিতে গিয়ে বাকিবুর রহমানও স্বীকার করেন, তাঁর কোনও কর্মীর থেকে ধান কেনা হয়নি। শুধু খাতায়-কলমে তাঁর কর্মীদের কৃষক দেখানো হয়েছিল সহায়ক মূল্যের টাকা পেতে। ইডি জানতে পারে, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড – এই তিনটি সংস্থা চার্জশিট দিয়ে ইডি জানাল এই সংস্থা গুলে খোলা হয়েছিল দুর্নীতির টাকা লোপাটের জন্য। সংস্থাগুলোর মাধ্যমে টাকা সরিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে (Chargesheet) উল্লেখ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই দুর্নীতি থেকে ৩৬ কোটি টাকা লাভবান হয়েছেন। যার মধ্যে ২২ কোটি টাকা ইডি ফ্রিজ করেছে। গম বণ্টন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি সামনে এসেছে। ধান বণ্টনের দুর্নীতির কথাও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সরকারের ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ বাকিবুরের বিরুদ্ধে। দুটো সংস্থা খুলে ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে ধান কেনার নামে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.