অর্ণব আইচ: শুনানি চলাকালীন ব্যাঙ্কশাল আদালতে অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারালেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। বমিও হয় তাঁর। মেয়ে চিকিৎসক হওয়ায় আদালত চত্বরে জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। বিচারক ধৃত মন্ত্রীকে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করার কথা বলেন। কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল পাঁচটা চার কিংবা পাঁচ হবে। শুনানি চলছিল। নিজের শারীরিক সমস্যার কথা জানাচ্ছিলেন বিচারককে। জানান, দীর্ঘদিনের সুগারের রোগী। কিডনির সমস্যাও রয়েছে। চেন্নাইতে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিদিন ১০ হাজার পা হাঁটতে হয় তাঁকে। সেকথা বিচারককে জানিয়ে চেয়ারে বসতে গিয়ে আদালত চত্বরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চেয়ার থেকে পড়ে যান। জ্ঞান হারান। বমি করতে শুরু করেন।
আদালতেই ছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করতে শুরু করেন। মাথায় জল দেন বাবার। এরপর কোনওক্রমে তাঁকে বিচারকের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারক তনুময় কর্মকার। তবে শেষ মুহূর্তে ফের নির্দেশিকা বদল হয়। পরিবারের অনুরোধ অনুযায়ী বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়কে ভর্তির নির্দেশ। কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়র ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে বেরলে ইডি হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বাড়ির খাবার খেতে পারবেন। এক ঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতেও পারবেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কম্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করার নির্দেশ বিচারকের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.