ফাইল চিত্র
গোবিন্দ রায়: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলা থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই মামলা গেল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।
গত ৪ মে, শনিবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Gangopadhyay) মনোনয়ন জমা দেন। তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বেরয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতানেত্রীরাও তাতে অংশ নেন। হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছনোর পর ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ, এই হাসপাতাল মোড় এলাকাতেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল।
অভিযোগ ওঠে, অনশনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনাতেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। তার পরদিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ময়নার তিলখোজা এলাকার প্রশান্ত দাস-সহ অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম। সেই এফআইআর খারিজের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি।
সেই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার মামলার শুনানি ছিল। এদিনই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন জয় সেনগুপ্ত। বিচারপতির দাবি, তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর সহকর্মী ছিলেন। তাই মামলা শুনবেন না। নিয়ম অনুযায়ী এবার এই মামলা ফিরে গিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। তিনি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে পাঠালেন মামলাটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.