গোবিন্দ রায়: শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দুকে সাক্ষী হিসাবে ডেকে হেনস্তার অভিযোগ। ওই মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এসডিপিওকে ভর্ৎসনা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিজের বেতন থেকে ওই জরিমানার টাকা দিতে হবে বলেও জানান বিচারপতি।
মেচেদা-দিঘা বাইপাসে এলইডি আলো লাগানো নিয়ে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ২০২২ সালে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। ২০১৭-১৮ সালে এই আলো লাগানো হয় বলে অভিযোগ। ২-৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এদিন নোটিস পাঠিয়ে সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। চার বছর পর কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেন মামলাকারী, তা স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য বিচারপতির। তাঁর প্রশ্ন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী কাউকে ডেকে পাঠানো হলে তাঁর আয়করের ফাইল কেন প্রয়োজন? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এর পরই শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দুকে পাঠানোর নোটিস খারিজ করে হাই কোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে এই ধরনের নোটিস পাঠানো যাবে না বলেই জানান বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এগরার SDPO-র থেকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিজের বেতন থেকে জরিমানা দিতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “SDPO তাঁর পোশাকে থাকা অশোকস্তম্ভের সম্মানরক্ষা করেননি। তিনি দাসের মতো কাজ করেছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.