গোবিন্দ রায়: এবার ভর্ৎসনার মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Paul)। ২০১৪ টেট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি বললেন, “মানিক ভট্টাচার্যর ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না।” আদালতের নির্দেশ পালনে বাধা হিসেবে বারবার অর্থনৈতিক সমস্যা তুলে ধরা হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি।
২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, অভিযোগ ছিল এমনটাই। নিয়ম অনুযায়ী, একবার টেট পাশ করলেই শূন্যপদ অনুযায়ী ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়া যায়। বারবার টেট দেওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু গত দু’বারে টেট উত্তীর্ণরা শংসাপত্র পাননি। ফলে ধন্দে পড়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফর্ম ফিলাপও করতে পারছেন না। এর প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মামলাকারীদের আইনজীবী। হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে বৈঠক করেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের টেটর শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। এদিন আদালতে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল বিচারপতি বলেন, “মানিক ভট্টাচার্যর ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না।” বিচারপতির কটাক্ষ, “আমার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার সময় টাকা থাকে। আইনজীবীদের পিছনে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না। অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক রীতিনীতির দোহাই!” এদিন আদালতে গৌতম পাল জানিয়েছেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শংসাপত্র পাবেন টেট উত্তীর্ণরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.