গোবিন্দ রায়: বসিরহাট আদালতে বিচারককে হেনস্তার ঘটনায় আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এবার অভিযুক্ত ছয় আইনজীবীকে তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামিকাল ১৮ মার্চ অভিযুক্তদের এজলাসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র এজলাসে।
এদিনও গোটা ঘটনা নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। “আদালতে সিজ ওয়ার্ক হলেই কাজ বন্ধ রাখতে হবে? রাজ্য একজন এপিপির জন্য কেন খরচ করবে?” প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তাঁর আরও বক্তব্য, “ওই আদালতে যেটুকু সামনে এসেছে, এটা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র।” বিচারপতি দেবাংশু বসাকের মন্তব্য, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১২ সালে আদালতে কাজ বন্ধের জন্য ফৌজদারি মামলা হয় ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে। ওই ছয় আইনজীবী হলফনামায় আবার দাবি করেছেন, ভালো পরিবার থেকে এসেছেন। অথচ ২০১২ সালেও একই ঘটনায় এদের নামে অভিযোগ আসে। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসাকের।
ভরা এজলাসে এদিন আদালতে টিভি চ্যানেলের ভিডিও চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় দুজন বিচারকের বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার বারের সেক্রেটারি। এরপরই ওই দুই আইনজীবীকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বসিরহাট আদালতের এপিপি গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, আদালতে সিজ ওয়ার্ক চলছিল। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “আগের দিন বলেছিলেন শোনেননি। আজ বলছেন শুনেছেন। ওনাকে বলতে হবে, কে কে ওনাকে বাধা দিয়েছেন।”
তাঁর আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, “ওনাকে যেতে না দিলে উনি কী করবেন? এমন সিজ ওয়ার্ক হাইকোর্টেও হয়। ইচ্ছে থাকলেও আসা যায় না।” বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, “নিজের প্রিন্সিপাল থাকা উচিত। উনি এপিপি, এটা মনে রাখতে হবে। রাজ্য খরচ করে কেন এমন এপিপি রাখবে? এরা তো কাউকেই ভয় পায় না।” এরপর অভিযুক্ত আইনজীবীদের আগামিকাল হাই কোর্টে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.