Advertisement
Advertisement

Breaking News

Justice Abhijit Ganguly

২০২০’র প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ারও তদন্ত করবে CBI-ED, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে বলেই নির্দেশ বিচারপতির।

Justice Abhijit Ganguly says CBI and ED jointly interrogates in 2020 Primary TET । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 2, 2023 4:34 pm
  • Updated:March 2, 2023 5:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই ও ইডি’র যৌথ তদন্তের নির্দেশ। ২০১৪’র টেটের ভিত্তিতে ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্তভার দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাঁধে। কীভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দ্বায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই ও ইডি। নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে বলেই নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

২০১৪’র প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। বেসরকারি ওই সংস্থা ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে উল্লেখ করেছিল কমিশন। কীভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দ্বায়িত্ব ওই বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই এবং ইডি। দুই তদন্তকারী সংস্থা একে অপরকে তথ্যের আদানপ্রদান করবে। ইডি’র তদন্ত আদালতের নজরদারিতে হবে না। সিবিআইয়ের সিট তদন্ত করবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে সাগরদিঘিতে বাজিমাত, জেনে নিন কে এই বায়রন বিশ্বাস?]

সিবিআই এবং ইডি পৃথকভাবে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে হাই কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, পর্ষদের তৎকালীন অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। প্রয়োজনে তাদের হেফাজতেও নেওয়া যাবেন। তবে ওই অ্যাডহক কমিটিতে একজন ৮০ বছরের মহিলা আছেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না বলেই সাফ জানান বিচারপতি।

বিচারপতি আরও জানান, “রাজ্য পুলিশের উপর আমার ভরসা আছে। কিন্তু পুলিশের উপর সরকারের প্রভাব রয়েছে। এখানে সরকারের অধীনে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই পর্ষদের সভাপতি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। যিনি এখনও বিধায়ক পদে বহাল রয়েছেন। পুলিশ এবং পর্ষদ রাজ্য প্রশাসনেরই অঙ্গ।”

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপধ্যায়ের নির্দেশেই ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই প্যানেলে একাধিক অসংগতি আছে, এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। তিনি আরও বলেন, “আমাকে একটা সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে গন্ডায় গন্ডায় কেন সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়েছে? আমি বলেছিলাম গন্ডায় গন্ডায় দুর্নীতি হয়েছে, তাই গন্ডায় গন্ডায় সিবিআই তদন্ত দিতে হয়েছে। আজ আবার দিলাম।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement