সুলয়া সিংহ: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে বিচারব্যবস্থাকে ভয় দেখানো যাবে না। কোনও দলের নাম উল্লেখ না করলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এদিন একপ্রকার হুঁশিয়ারির সূরে বলে দিয়েছেন, এসব কারা করছে, সেটা তিনি জানেন।
আসলে সোমবার কলকাতা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajashekhar Mantha) বেঞ্চ বয়কটের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার সকালে আদালত খোলার পরও আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটে অনড় থেকে শুনানিতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হাই কোর্টে বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। এমনকী যোধপুর পার্কে তাঁর বাসভবনেও পোস্টার পড়ে। আইনজীবীদের তাঁর এজলাসে যেতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
এ প্রসঙ্গে এদিন এক অনুষ্ঠানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পৃথিবীশুদ্ধ সবাই দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। কোনও একটা অংশ বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। কিন্তু গতকালই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়। এত সহজে বিচারব্যবস্থাকে ভয় দেখানো যাবে না।”
এরপরই একপ্রকার সতর্কতার সুরে হাই কোর্টের বিচারপতি বলে দেন, “আমি কোনও দলের কথা বলছি না। কোন দল করেছে আমি জানি না। বরং শাসকদল তো অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমি প্রায় ২৩ বছর কলকাতা হাই কোর্টে প্র্যাকটিস করেছি। ৫ বছর বিচারপতির আসনে আছি। আমার কেরিয়ারে কোনওদিন এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। কোন দুর্বৃত্তের এত সাহস হল? আমি মনে করি এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাই কোর্টের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, হাই কোর্টের এই কাণ্ড শাসকদল তৃণমূলই ঘটিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.