সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বহু রায়ে বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এসএসসি তথা টেটে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য তিনি ‘মসিহা’। সুবিচারের আশায় তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকেন সমাজের নিচুতলার বহু মানুষ। বিচারপতি হিসাবে অভিজিৎবাবু সম্ভবত সবচেয়ে চর্চিত। এবার ব্যক্তি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এগিয়ে এলেন জনসেবায়। মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করতে চলেছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দাপুটে বিচারপতি। এমনটাই দাবি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।
‘গণদর্পণ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারী সংগঠনের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১০ জানুয়ারি ১৮৩৬ ভারতবর্ষে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন পন্ডিত মধুসূদন গুপ্ত। দিনটি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান দিবস’ হিসেবে বিবেচিত। ওই দিনটিকে স্মরণে রেখেই মরণোত্তর দেহদান বিষয় নিয়ে গণদর্পণের অন্যতম সম্পাদক শ্যামলের লেখা ‘মৃত্যুই শেষ কথা নয়’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ হতে চলেছে। ‘গণদর্পণ’ জানিয়েছে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সংগঠনের সহ-সভাপতি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও (Bikash Ranjan Bhattacharya) ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
গণদর্পণের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সাহা রায় জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠন প্রায় চার দশক ধরে জনসেবায় নিয়জিত। মরণোত্তর দেহদানের সঙ্গেও তাঁরা যুক্ত সেই ১৯৮৬ সাল থেকে। এবছর ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান দিবস’ উপলক্ষে তাঁরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন। তখনই তিনি মরণোত্তর দেহদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়েও খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্ক কম নেই। কেউ কটাক্ষ করেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেকে ‘হিরো’ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। কেউ কটাক্ষ করেন, ‘তিনি নাকি আইন জানেন না।’ বস্তুত তাঁর কাজ করার ধরন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু বিচারপতি মোড়কের বাইরে বেরিয়ে যদি সত্যিই তিনি জনসেবার কাজে এভাবে এগিয়ে আসেন, তাহলে যে তিনি এসব বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে যাবেন, সেটা বলে দেওয়াই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.