সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Primary TET Scam) তল পেতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার পরীক্ষার মুখে খোদ পরীক্ষকরা। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অ্যাপ্টিটিড টেস্ট কেন নেওয়া হয়নি, তা জানতেই জেলা থেকে ইন্টারভিউয়ারদের তলব করা হয়েছিল।
বিচারপতির নির্দেশ মতো মঙ্গলবার হাই কোর্টে (Calcutta High Court) উপস্থিত হয়েছিলেন একাধিক জেলার ৩০ জন পরীক্ষক। এজলাসে নয়, হাই কোর্টের সার্ধশতবর্ষ ভবনের একটি ঘরে পরীক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। ১১টা ৪৫ থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া। সময়ের অন্তত ১০ মিনিট আগেই সেখানে পৌঁছন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরীক্ষকদের আশ্বস্ত করে বিচারপতি জানান, সামান্য কিছু প্রশ্ন করা হবে। এরপর নাম ডেকে একে একে ওই পরীক্ষকদের ঘরে ডাকা হয়। তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বিচারপতি। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় তাঁদের।
২০১৪ র টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। সেই প্রেক্ষিতে এবার হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউয়ারদের তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, পর্ষদের হলফনামা থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রাথমিকের ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ইন্টারভিউ আর অ্য়াপ্টিটিউড টেস্টকে একত্র করে একটা গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে।
কী এই অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট? ইন্টারভিউতে হবু প্রাথমিক শিক্ষকদের চক-ডাস্টার হাতে নিয়ে দেখাতে হয় কেমনভাবে পড়াবেন তিনি। ২০১৬ সালে সেই পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.