রাহুল রায়: নিয়ম না মানলে ডিসেম্বরের টেট (Primary TET) বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। টেটের এক মামলার শুনানি চলাকালীন সময় পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। ইতিপূর্বে পর্ষদের প্রশংসা করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সেই মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।”
উল্লেখ্য, পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতের কাছে। কেউ অভিযোগ করেছে, ওএমআর শিটে এক নম্বর আবার তালিকায় অন্য নম্বর। কোথাও আবার খাতায় সমস্যা রয়েছে। আবার ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেটের পরীক্ষার্থীদের ফলপ্রকাশে নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই শুনানিতেই কড়া মন্তব্য বিচারপতির।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। টেট-এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে দু’টি টেট-এ উত্তীর্ণ হলেও কোনটিতে বেশি নম্বর পেয়েছেন, তা জানতে পারলে সেই টেট-এর ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। তাই টেট-এ প্রাপ্ত নম্বর জানতে চান ওই প্রার্থীরা। গত ৩ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে যে সকল প্রার্থী ২০১৭ সালের টেট-এ ৮২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদেরও টেট উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করা হবে।
৭ নভেম্বর ২০১৭-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। যা নিয়ে মামলা হয়েছিল। অবশেষে এদিন হাই কোর্টে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, আগামী শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হবে। প্রকাশ করা হবে তালিকাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.