গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক (Primary), উচ্চ প্রাথমিক (Upper Primary), এসএলএসটি (SLST), মাদ্রাসা-কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, রিপোর্ট চাইলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা করতে হবে। আইনি জটে নিয়োগ থমকে থাকলে সেই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন বিচারপতি, সোমবার এমনটাই জানালেন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।
সম্প্রতি চর্চায় উঠে এসেছে রাজ্যের ১৮ হাজার শূন্যপদের নিয়োগ। অভিযোগ, আইনি জটে ওই শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “শেষ একমাসে আমি জানতে পেরেছি যে ১৮ হাজার শিক্ষকের চাকরি তৈরি আছে। এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণেই এই চাকরিগুলো দেওয়া যাচ্ছে না।” এরপরই বিচারপতির নির্দেশ, কোথায় কত শূন্যপদ আছে স্কুল শিক্ষাদপ্তরের সচিবকে জানাতে হবে। আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দিতে হবে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং মাদ্রাসা, কোথায় কত শূন্যপদ আছে জানাতে হবে। লাইব্রেরিয়ান পদের তথ্যও জানাতে পারেন সচিব।
১৮ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের কী নিষেধাজ্ঞা আছে সেটাও জানাতে হবে সচিবকে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, “এই ১৮ হাজার নিয়োগে যদি আদালতের কোনও বাধা না থাকে তাহলে নিয়োগের জন্য কী ব্যবস্থা করা যায় বা বাধা থাকলেও কী ব্যবস্থা করা যায় সেটা আমি দেখব।” একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতির ময়দানে টেনে নামানো হোক এটা আমি চাই না।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চলছে সিবিআই তদন্ত। এরমধ্যেই রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, ১৮ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ থমকে রয়েছে আইনি জটিলতায়। এবার সেই শূন্যপদের বিস্তারিত তথ্য চাইল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.