ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের অসুখ-বিসুখ সম্পর্কে জানুক ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাই এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিয়মিত প্রত্য়ন্ত এলাকায় পাঠানোর প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পিজি হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানেই মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসক ও অধ্যাপকদের এই প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের মেলবন্ধন শক্ত হোক। গ্রামের মানুষদের সমস্যা জানুক হবু চিকিৎসকরা। তাঁদের সঙ্গে থেকে, জীবনশৈলী বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিক ভবিষ্যতের ডাক্তাররা। এমনটাই চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার নিয়মিত তাঁদের গ্রামে পাঠানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশংসা করেন মমতা। রাতে সিনিয়র চিকিৎসকরাও যাতে হাসপাতালে থাকেন এদিন আরও একবার সে কথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “হার্ট অ্যাটাক আর দুর্ঘটনা মাঝরাত আর ভোরবেলা হয়। সেই সময় কেউ থাকে না। ডাকলেও পাওয়া যায় না। সেসময় জুনিয়র ডাক্তাররাই হাসপাতালে থাকেন।পরিষেবা দেন।” বস্তুত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাতে চিকিৎসকদের থাকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন।
এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আবেগতাড়িত মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে শহরের ‘একলা’ বাবা-মায়েদের কথা। বলেন, “বাবা-মা সন্তান মানুষ করতে জীবনের ২০-২৫ বছর ব্যয় করেন। কিন্তু শেষ জীবনে একা থাকতে হয়। এই সব আমার ভালো লাগে না।” তাই পড়াশোনা শেষ করে পড়ুয়াদের রাজ্যে ফিরে আসার আরজি জানান তিনি। বলেন, “দু’টাকা কম রোজগার হতে পারে। কিন্তু কলকাতা বা রাজ্যে পাঁচ টাকায় যেমন মা ক্যান্টিনে পেট ভরে খাবার পাওয়া যায়, তেমনই বিনা পয়সায় রেশন পাওয়া যায়। পাওয়া যায় বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই ব্যবস্থা দেশের আর কোনও রাজ্যে পাওয়া যায় না।”
এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কয়েকটি নতুন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে রেডিও থেরাপি বিভাগের সেমিনার হল, পুলিশ হাসপাতালে ১.৫ টেলসা এমআরআই ইউনিট, হেড নেক সার্জারি বিভাগের ১০ টি আইসিইউ, একাধিক গ্যাংওয়ে-সহ একাধিক পরিষেবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.