Advertisement
Advertisement

Breaking News

R G Kar strike

আর জি করে অচলাবস্থা নিয়ে বাড়ছে জটিলতা, আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের

দ্রুত সমাধানের জন্য আজ ফের স্বাস্থ্যভবনে যাচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজের ৩৮ টি বিভাগের প্রধানরা।

Junior doctors may go for hunger strike in R G Kar Medical College
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 19, 2021 12:31 pm
  • Updated:October 19, 2021 5:46 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: শত আলাপ-আলোচনায়, আশ্বাস, সরকারের কড়া পদক্ষেপ একেবারেই নিষ্ফলা। নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও নড়ানো গেল না আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (R G Kar Medical College) আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা কাজে ফিরতে নারাজ। উলটে আমরণ অনশনের পথে হাঁটতে চলেছেন তাঁদের একাংশ। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের ১১ জন আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে ২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বিলিরুবিন কমেছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিকে, অচলাবস্থা কাটাতে আজ আর জি করের ৩৮ টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা যাচ্ছেন স্বাস্থ্যভবনে (Swasthya Bhaban)। দ্রুত জট কাটাতে সেখানে বৈঠক করা হবে।

সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ফেরাতে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়ে দুই জুনিয়র ডাক্তারের  (Junior Doctors) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। শাস্তির কোপে পডে়ছেন অন্যান্য ডাক্তাররাও। তাঁরা আউটডোরে হাজির থেকে চিকিৎসা না করলে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। তবে অনশনে ভঙ্গ দিয়ে কাজে ফেরেননি কেউ। মঙ্গলবার এ নিয়ে আরও কড়া হল স্বাস্থ্যভবন। বলা হয়েছে, ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিতেই হবে। এই তথ্য পাঠানো হবে স্বাস্থ্যভবনে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে ‘দরজা রহস্য’ সমাধানে ফরেনসিক ও গোয়েন্দারা]

স্বাস্থ্যদপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশ, আর জি কর হাসপাতাল থেকে রোগীদের আর অন্যত্র রেফার করা যাবে না। যেভাবেই হোক আউটডোর পরিষেবা চালু করতেই হবে। রোগীর হয়রানি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এদিকে, হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের দাবি, হাসপাতালে পরিষেবা চালু হয়েছে। অস্ত্রোপচারও চলছে। তবে পঠনপাঠনে যে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু বাস্তব বলছে, পরিস্থিতি তেমনটা নয়। আর জি করের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জেনে আর কেউ এই হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। ভরসা রাখতে না পেরে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তাই রোগীর চাপই নেই তেমন।

[আরও পড়ুন: Bangladesh Violence: বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে চুপ কেন মোদি? মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় প্রশ্ন তুলল তৃণমূল]

সরকারি হাসপাতালে এতদিন ধরে স্রেফ আন্দোলনের কারণে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার মতো এমন নজিরবিহীন বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তারউপর আন্দোলনকারীদের ২ জনের অসুস্থতা এবং আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা বাড়ছে কর্তৃপক্ষের। তাই মঙ্গলবার কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা বিষয়টির মীমাংসায় ফের স্বাস্থ্যভবনে যাচ্ছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement